শিবশঙ্কর চ্যাটার্জ্জী, দক্ষিণ দিনাজপুরঃ
লকডাউনের মধ্যেই তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতিদের হানায় গুরুতর আহত হলো দুই বিজেপি কর্মী। যদিও সেই অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে তৃণমূলের তরফে। দুদফায় দুষ্কৃতি হানায় বিজেপি কর্মীদের আহত হওয়ার ঘটনাটি ঘটেছে গতকাল রাত্রে ও আজ বুধবার সকালে দক্ষিন দিনাজপুর জেলার গঙ্গারামপুর ব্লকের নয়াবাজার যাদবাটি অঞ্চলের বজ্রাপুকুর এলাকায়।
গুরুতর আহত দুইজনকেই গতকাল রাত্রে ও আজ সকালে গঙ্গারামপুর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের চিকিৎসা করেন। আহতরা হলেন গঙ্গারামপুর ব্লক গ্রামীন বিজেপি দলের মন্ডল সম্পাদক ভগীরথ সরকার ও দীপংকর সরকার।
আরও পড়ুনঃ মালদহের পর পড়শি পূর্ণিয়াতে মিলল করোনা পজিটিভ, ভয়ে সিঁটিয়ে ডালখোলা
স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্বের অভিযোগ তৃণমূল কংগ্রেস বিজেপি’র সাংসদ থেকে সাধারন কর্মী কাওকেই ত্রাণ বিলি করতে দেবে না। তাই একদিকে পুলিশ প্রশাসন দিয়ে বিজেপি নেতৃত্বকে আটকানো হচ্ছে অপরদিকে তৃণমূলের গুন্ডা বাহিনীকে এলাকায় নামিয়ে বিজেপি কার্যকর্তাদের উপর হামলা চালানো হচ্ছে।
তাদের আরও অভিযোগ সে কারণেই দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার গঙ্গারামপুর ব্লকের নয়াবাজার যাদবাটী বজ্রাপুকুর এলাকার বিজেপি কর্মীরা সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়ানোয় ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপানো হল গঙ্গারামপুর গ্রামীন মন্ডলের সাধারণ সম্পাদক ভগীরথ সরকারকে। ঘটনায় গুরুতর জখম ওই বিজেপি কর্মীকে গঙ্গারামপুর মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
পাশাপাশি বিজেপি নেতৃত্বের আরও অভিযোগ মঙ্গলবার রাতে বিজেপির এক কর্মী দীপংকর সরকার (ভগীরথ সরকারের ভাই) কে ব্যাপক মারধর করে তৃণমূলের গুন্ডারা। তার মাথা ফেটে যায়। আহত অবস্থায় তাকেও গতকাল হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে তার চিকিৎসা হয়। ঘটনার প্রতিবাদ করে থানায় যাওয়ার কথা শুনে আজ সকালে ফের তৃণমূলের পক্ষ থেকে হামলা চালানো হয় তাদের মন্ডল সম্পাদকের উপর। ভগীরথকে ধারালো অস্ত্রদিয়ে কুপিয়ে খুন করার চেষ্টা করা হয়। কোন মতে প্রাণ রক্ষা হয় তার। গুরুতর জখম অবস্থায় তাকে গঙ্গারামপুর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এই ঘটনার নিন্দা করে বালুরঘাটের বিজেপি সাংসদ সুকান্ত মজুমদারের অভিযোগ করোনার মত অতিমারিতে তৃণমূল বিজেপির নেতা কর্মীদের উপর প্রাণঘাতি হামলা চালাচ্ছে। পুলিশ নির্বিকার। রাজ্যটা এখন ভগবানের দয়ায় চলছে। নৈতিক দায়িত্ব নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ করা উচিত বলে তিনি দাবি জানান।
অপরদিকে জেলা তৃণমূলের কার্যকরি সভাপতি দেবাশীষ মজুমদার অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন এসব পারিবারিক বিবাদের জেরে নিজেদের মধ্যে গন্ডোগোল। এদের বিরুদ্ধে গঙ্গারামপুর ও তপন থানায় একাধিক কেস রয়েছে। এই গন্ডোগোলের সাথে তৃণমূলের কোন যোগ নেই। বিজেপির তরফে মিথ্যে তৃণমলের বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলা হচ্ছে বলে তিনি জানান। লকডাউনের মধ্যে এই বিবাদকে ঘিরে দুই যুযুধান রাজনৈতিক দলের চাপান উতর জেলায় ক্রমেই উত্তেজনার পারদ চড়ছে বলেই মনে করছে জেলার রাজনৈতিক মহল।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584