শুভম বন্দ্যোপাধ্যায়, কলকাতাঃ
কলকাতায় ফের করোনার বলি হলেন এক সিআইএসএফ কর্মী। টালিগঞ্জের এমআর বাঙ্গুর হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন সুশান্তকুমার ঘোষ নাম ওই সিআইএসএফ কনস্টেবল। তিনি গার্ডেনরিচ শিপবিল্ডার্সে কর্মরত ছিলেন।বৃহস্পতিবার তাঁর মৃত্যু হয়। ঘটনায় কেন্দ্রীয় বাহিনীর তরফে মৃতের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে টুইট করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, এর আগে কলকাতার ভারতীয় জাদুঘরে কর্মরত এক সিআইএসএফ জওয়ানের মৃত্যু হয়। তারপর এই মাসের শুরুর দিকে মৃত্যু হয় এক সিআইএসএফ এএসআইয়ের। আবার আরও একজনের মৃত্যু হল কলকাতায়। এই নিয়ে মোট ৩ জন সিআইএসএফ জওয়ানের মৃত্যু হল।
এছাড়াও এনআরএস হাসপাতালে আরও নতুন ৪ করোনা আক্রান্তের খোঁজ পাওয়া গিয়েছে। জানা গিয়েছে, এদের মধ্যে ২ জন প্রসূতি এবং ২ জন মেডিসিন বিভাগের। এদের সকলকে শনিবার বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হবে।
আরও পড়ুনঃ টালিগঞ্জে গাড়ির ধাক্কায় পোস্ট ভেঙে মৃত্যু দমকল কর্মীর
এদিকে সস্ত্রীক দমকলমন্ত্রী করোনা পজিটিভ হওয়ার পরেও পিপিই জুটছে না দমকলকর্মীদের। রাজ্যের ১৪৬টি দমকল কেন্দ্রের অধিকাংশের কাছেই এখনও পিপিই পৌঁছয়নি বলে অভিযোগ। ফলে ঝুঁকি নিয়েই কাজ করতে হচ্ছে দমকলকর্মীদের। এদিকে বিভিন্ন জায়গায় দমকলকর্মীদের দিয়েই স্যানিটাইজেশনের কাজ করানো হচ্ছে।
সংক্রমণের নিরিখে কলকাতা, হাওড়া, উত্তর ২৪ পরগনা-সহ রাজ্যের অনেক জেলা রেড জ়োনের মধ্যে পড়ছে। অথচ ওই সমস্ত জেলায় যৎসামান্য পিপিই পৌঁছেছে। পিপিই না থাকায় সম্প্রতি বারুইপুরের হাসপাতালে মুখে গামছা বেঁধেই কাজ করতে দেখা গিয়েছে দমকলকর্মীদের।
পিপিই ছাড়াই তারা স্যানিটাইজেশনের কাজ করছেন। দমকল সূত্রের খবর, রাজ্যে ১৪৬টি দমকল কেন্দ্রে কর্মী সংখ্যা প্রায় সাড়ে ৬ হাজার। দমকলের ডিজি জগমোহন বলেন, ‘‘রাজ্যের সব দমকল স্টেশনে পর্যাপ্ত সংখ্যক পিপিই যাতে শীঘ্র পৌঁছয়, তার ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।’’
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584