শিবশঙ্কর চ্যাটার্জ্জী, দক্ষিণ দিনাজপুরঃ
নিজের স্ত্রীকে শ্বাসরোধ করে খুনের চেষ্টা করলেন এক সিভিক ভলান্টিয়ার। বুধবার অভিযুক্ত স্বামী সহ শ্বশুরবাড়ির লোকজনের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন ওই মহিলা। পণের টাকা না মেটানোয় এই খুনের চেষ্টা বলে পরিবার সূত্রে খবর।
বিয়ের পর লাগাতার তিন বছর নানান শারীরিক ও মানসিক অত্যাচারের শিকার হতে হয়েছে মর্জিনা খাতুনকে। সংসার করতে চেয়ে এতদিন কোন অভিযোগ করেননি মর্জিনা। অত্যাচারের সীমা চরমে পৌঁছানোয় বুধবার। ওড়না জড়িয়ে শ্বাসরোধ করে খুন করার চেষ্টা করেন অভিযুক্ত স্বামী কুদ্দুস মন্ডল।
এদিন হিলি থানার ওসি প্রীতম সিং জানিয়েছেন, ‘বিষয়টির খোঁজ নিয়ে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে খবর, ২০১৭ সালের আগস্ট মাসে রেজিস্ট্রি করার দুই মাস পর মুসলিম ধর্ম মেনে বিয়ে সম্পন্ন হয় মর্জিনা খাতুন ও কুদ্দুস মন্ডলের। কুদ্দুস পেশায় হিলি থানায় সিভিক ভলেন্টিয়ারের পদে কর্মরত। অভিযোগ, বিয়ের পর থেকেই ৬ লক্ষ টাকা পণের দাবিতে মর্জিনার উপর অত্যাচার শুরু করে কুদ্দুস। বিষয়টি জানিয়ে হিলি থানায় অভিযোগ করতে গেলেও সেই সময় অভিযোগ না নিয়ে তাকে ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ।
আরও পড়ুনঃ ‘রাস্তা চাই নইলে ভোট নাই’, স্লোগান তুলে বিক্ষোভ গ্রামবাসীদের
গত ১৪ তারিখে ফের টাকার দাবিতে মারধর করা হয় মর্জিনাকে। অভিযোগ, শুধু তাই নয় ওড়না দিয়ে গলায় পেচিয়ে শ্বাসরোধ করে তাকে খুনের চেষ্টা করেছে কুদ্দুস। ঘটনার পর জ্ঞান হারিয়ে ফেললে খবর পেয়ে মর্জিনার বাবার বাড়ির লোকেরা তাকে উদ্ধার করে হিলি গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করান। বর্তমানে বাবার বাড়িতেই আছেন তিনি। এদিন বাধ্য হয়ে ফের হিলি থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন ওই মহিলা।
আক্রান্ত মহিলা মর্জিনা খাতুন জানিয়েছেন, ‘সিভিকের কাজ করে বলে অভিযোগ না করার ভয় দেখাত কুদ্দুস। আর যার ফলে দিনের পর দিন অত্যাচার বাড়ছিল। এদিন বাধ্য হয়ে হিলি থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন।’
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584