শুভম বন্দ্যোপাধ্যায়, কলকাতাঃ
অল্প বয়সে মা হওয়ার ঝক্কি ছিলই। তার ওপরে সন্তান জন্মানোর আগেই করোনা আক্রান্ত হয়ে গিয়েছিলেন মা। ওই অবস্থাতেই তাকে চিকিৎসার জন্য আরজিকর থেকে পাঠিয়ে দেওয়া হয় করোনা হাসপাতাল কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে। অভিযোগ, গর্ভস্থ সন্তান মৃত জেনেও সঠিক সময়ে তাকে বের করেনি দুই হাসপাতালই। যার ফলে ১০ দিন লড়াই করেও সন্তানের সঙ্গে মৃত্যু হয়েছে ওই প্রসূতিরও।
জানা গিয়েছে, দমদমের বাসিন্দা ওই অন্তঃসত্ত্বা তরুণীর নাম মৌসুমী রায়। ২১ বছরের ওই তরুণী প্রসবের জন্য গত ৪ সেপ্টেম্বর আরজিকর মেডিকেল কলেজে ভর্তি হয়েছিলেন। কিন্তু প্রসবের অস্ত্রোপচারের আগে কোভিড টেস্ট করাতে গিয়ে দেখা যায়, তিনি কোভিড পজিটিভ।
আরজিকর হাসপাতাল কোভিড হাসপাতাল না হওয়ায় রোগীকে কলকাতা মেডিকেল কলেজে রেফার করে দেওয়া হয়। ৯ সেপ্টেম্বর রোগীকে কলকাতা মেডিকেল কলেজে নিয়ে আসা হয়।
আরও পড়ুনঃ করোনা সংক্রামিত রাজ্যসভার সাংসদ শান্তা ছেত্রী
এদিকে এর মধ্যেই মাতৃজঠরেই মৃত্যু হয় শিশুটির। সাধারণত জঠরে শিশুর মৃত্যু হলে ‘ইনডাকশন পদ্ধতি’-তে ইঞ্জেকশন দিয়ে যোনিপথ দিয়েই মৃত শিশু বার করিয়ে আনা হয়। সেভাবেই মৃত বাচ্চাটিকেও বের করে আনা হয় কলকাতা মেডিকেলে।
আরও পড়ুনঃ ফের হাসপাতালে ভর্তি হলেন অমিত শাহ
এদিকে বাচ্চাটিকে বার করার পরপরই রবিবার সকালে মৃত্যু ওই তরুণীর। গোটা ঘটনায় ২ হাসপাতালের বিরুদ্ধেই অভিযোগের আঙুল তুলেছে মৃত তরুণীর পরিবার। গুরুতর অসুস্থ কোভিড রোগীকে রেফার না করে হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে রেখেও অস্ত্রোপচার করানো যেত। মৃত বাচ্চা পেটে রেখে দেওয়ার জন্যই তরুণীর মৃত্যু হয়েছে।
যদিও কলকাতা মেডিকেল কলেজের দাবি, মৃত বাচ্চার জন্য মায়ের মৃত্যু হয় না। রোগীর করোনার সঙ্গে জন্ডিসের সমস্যাও ছিল। বিভিন্ন শারীরিক দুর্বলতার কারণেই তার মৃত্যু হয়েছে। এক্ষেত্রে হাসপাতালকে দায়ী করা যুক্তিহীন।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584