শুভম বন্দ্যোপাধ্যায়, কলকাতাঃ
বিপুল পরিমাণে ওজন এবং রক্তে মাত্র ৯ শতাংশ অক্সিজেনের মাত্রা নিয়ে ভর্তি হওয়া ১৩১ কেজি ওজনের করোনা রোগীকে সুস্থ করা নিয়ে আশঙ্কিত ছিলেন চিকিৎসকরাই। কিন্তু চিকিৎসাশাস্ত্রে এমন অনেক কিছু ঘটে যায়, যাকে বলা হয় মিরাকল। আর সেই কারণেই ১৩১ ওজনের যুবককেও ইসিএমও চিকিৎসা পদ্ধতির সাহায্যে সুস্থ করে ইতিহাস গড়লেন কলকাতার চিকিৎসকরা।
করোনা ভাইরাস যেহেতু ফুসফুসকে অকেজো করে দেয়, তাই বিকল হওয়া অঙ্গ সচল রেখে শরীরে অক্সিজেন যোগান দেওয়া হয় ইসিএমও-র সাহায্যে। বিক্ষিপ্তভাবে দেশে দুই একটি হাসপাতালে নয়া চিকিৎসা পদ্ধতি চালু হলেও মুম্বইয়ের রিদ্ধি বিনায়ক ও কলকাতার মেডিকা সুপার স্পেশ্যালিটি প্রতিষ্ঠানিকভাবে অনেক এগিয়ে।
বিশেষ করে করোনা রোগীকে সুস্থ করার ক্ষেত্রে ডাঃ কুণাল সরকারের টিম ইসিএমও ব্যবহার করে চমকে দেওয়ার মত সাফল্য পেয়েছেন। এমনই একজন রোগী হলেন রাজ্য বিদ্যুৎ পর্ষদের বর্ধমানের জোনের ইঞ্জিনিয়ার অতনু দত্ত। বয়স মাত্র ৩৪, ওজন ছিল ১৩১ কেজি।
আরও পড়ুনঃ বাঙুরের টিকিটে নেগেটিভ, স্বাস্থ্য দফতরের রিপোর্টে পজিটিভ, বিপাকে বৃদ্ধ রোগী
ভারী চেহারার ইঞ্জিনিয়ার করোনা আক্রান্ত হয়ে যখন মুমূর্ষু অবস্থায় হাসপাতালে আসেন। তখন তাঁর শরীরে অক্সিজেন ছিল ৯ শতাংশ। ভেন্টিলেশনে দিয়েও ফুসফুসকে সক্রিয় করা সম্ভব হচ্ছিল না। বাধ্য হয়ে ইসিএমও মেশিনে নিয়ে যাওয়া হয়।
ডাঃ অর্পন চক্রবর্তী জানান, “১৫ থেকে ২৫ জুলাই ইসিএমও-তে ছিলেন অতনু। করোনা আক্রান্ত কমবয়সী রোগীর ক্ষেত্রে বিপুল ওজনের কারণে অতনুর চিকিৎসায় ঝুঁকি ছিল। প্রতিদিন ডাক্তাররা ভিডিও কলিং করে স্ত্রীর সঙ্গে কথা বলাতেন অতনুকে। আর তার ফলাফল ঘটল এই মিরাকেল। অতনুকে শুধু সুস্থ নয়, প্রায় ২০ কেজি ওজন কমিয়ে বাড়ি পাঠালেন চিকিৎসকরা।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584