শুভম বন্দ্যোপাধ্যায়, কলকাতাঃ
উৎসব সব মানুষের কাছে আনন্দের আবেশ বয়ে আনে না। সমস্যায় জর্জরিত কিছু মানুষের কাছে তা হয়ে ওঠে নিদারুণ যন্ত্রণার। ঠিক তেমনই একদিকে সন্তান হারানোর শোক এবং অন্যদিকে ভয়ঙ্কর অর্থকষ্টে পড়ে চরম সিদ্ধান্ত বেছে নিতে বাধ্য হলেন এক দম্পতি।
চারু মার্কেট থানা এলাকার টালিগঞ্জের সিএমডি আবাসনে উদ্ধার হল অরিজিত দত্ত ও সুপর্ণা দত্তের দেহ।দেহের পাশ থেকে একটি সুইসাইড নোটও উদ্ধার হয়েছে। যেখানে লেখা, “আমাদের মৃত্যুর জন্য কেউ দায়ী নয়।”অথচ একে অপরকে ভালবেসেই বিয়ে করেছিলেন সুপর্ণা-অরিজিৎ। আলাদাভাবে ঘর নিয়ে নতুন জীবনের স্বপ্ন দেখা শুরু করেছিলেন। কোল আলো করে এসেছিল এক ফুটফুটে শিশু সন্তান।
কিন্তু আচমকাই সুখের সংসারে ছন্দপতন ঘটে। অসুস্থ হয়ে পড়ে তাঁদের একমাত্র শিশুসন্তান। অসুস্থতার কারণে মাস চারেক আগে মৃত্যু হয় একমাত্র সন্তানের।এর মধ্যেই রোজগারও বন্ধ হয়ে যায় দম্পতির। পরিবার সূত্রে খবর, অরিজিতের গাড়ির ব্যবসা ছিল। কিন্তু লকডাউনের কারণে গত ৫ মাস ধরে সেই গাড়ি বসে থাকায় কোনও আয় নেই।
আরও পড়ুনঃ পর্ণশ্রীতে চাঁদার নামে জুলুমবাজি,প্রতিবাদে নিগৃহীতা অন্তঃসত্ত্বা
ফলে ব্যাঙ্কে ইএমআই শোধ করতেও পারছিলেন না অরিজিৎ। সমস্ত পুঁজি সঞ্চয় নিঃশেষিত হয়ে আসছিল।ফলে আর দ্বিতীয় কোনও পথ ভেবে পাননি তারা দু’জনে। মহালয়ার সকালে একসঙ্গেই দুই জন জীবন শেষ করে দেন। অত্যন্ত মর্মান্তিক এই ঘটনায় শোকস্তব্ধ এলাকাবাসী। ভেঙে পড়েছে যুগলের পরিবার পরিজনেরাও।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584