ওয়েব ডেস্ক, কানপুরঃ
উত্তরপ্রদেশে কানপুরের দেহাত জেলায় ২০ বছরের তরুণীকে মাথায় বন্দুক ঠেকিয়ে গণধর্ষণের অভিযোগ। অভিযোগের তীর প্রাক্তন গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান সহ দু’ জনের দিকে। ঘটনার পর থেকেই এলাকা ছেড়ে পালিয়েছে অভিযুক্তরা।
ধর্ষণের এক সপ্তাহ পরেও অভিযুক্তদের ভয়ে এতদিন মুখ খোলার সাহস পাননি নির্যাতিতা তরুণী ও তাঁর পরিবার। অবশেষে পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছে তাঁর পরিবার। দলিত তরুণীর পরিবারের অভিযোগ, ঘটনার দিন বাড়িতে একা ছিলেন তরুণী।
সেই সুযোগে বাড়ির ভিতর ঢুকে পড়ে দুই অভিযুক্ত, তাদের মধ্যে একজন প্রাক্তন গ্রাম প্রধান। অভিযোগ, মাথায় বন্দুক ঠেকিয়ে ওই তরুণীকে ধর্ষণ করে ওই দুই ব্যক্তি। এ ব্যাপারে কাউকে কিছু জানালে চরম পরিণতি হবে, এই বলে অভিযুক্তরা হুমকি দেয় নির্যাতিতাকে।
আরও পড়ুনঃ বিশ্ব ক্ষুধা সূচকে নীচের দিকে ভারত! এগিয়ে পাকিস্তান বাংলাদেশ নেপাল
জেলার এসপি কেশব কুমার বলেছেন, যদিও এক সপ্তাহ আগে ঘটনা ঘটেছে, কিন্তু পুলিশ বিষয়টি জানতে পেরেছে গত রবিবার। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির একাধিক ধারা এবং তফসিলি জাতি এবং উপজাতি (প্রিভেনশন অফ অ্যাট্রোসিটিস) আইন, ১৯৮৯ অনুযায়ী মামলা দায়ের হয়েছে।
আরও পড়ুনঃ লাদেনের বাবা মোদী, সোনম কাপুর-অনিল কাপুরও রয়েছেন ভোটার তালিকায়
তদন্তের জন্য স্থানীয় থানার স্টেশন হেড অভিসারের নেতৃত্বে বিশেষ দল গঠন করা হয়েছে। সার্কেল অফিসার ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এই বিশেষ দলের নেতৃত্বে রয়েছেন।
হাথরাসে দলিত তরুণীকে গণধর্ষণ ও হত্যার ঘটনায় উত্তাল গোটা দেশ। তার মধ্যেই উত্তরপ্রদেশে ঘটে চলেছে একের পর এক ধর্ষণ ও দলিত নিগ্রহের ঘটনা। অপরাধ বৃদ্ধির জন্য যোগী প্রশাসন ও সরকারকেই দায়ী করেছেন বিরোধিরা।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584