গঙ্গা মেলা উপলক্ষে একদিনের মেলা চন্দ্রকোনা রোডের মঙ্গলপাড়া

0
69

নিজস্ব সংবাদদাতা, পশ্চিম মেদিনীপুরঃ

গড়বেতা ৩ নম্বর ব্লকের অন্যতম কৃষিপ্রধান এলাকা হল ৮ নম্বর নলবনা অঞ্চল । সেই অঞ্চলের অন্তর্গত অন্যতম হিন্দুপ্রধান গ্রাম হল মঙ্গলপাড়া ও আমকান্দলা । আজ থেকে প্রায় আনুমানিক ছাব্বিশ বছর আগে মঙ্গলপাড়া গ্রামের বাসিন্দা প্রয়াত সত্যসাধন পাল নামে এক জনৈক ব্যক্তির উদ্যোগে দুই গ্রামের মধ্যবর্তী কুবাই নদীর দক্ষিণ পার্শস্থ এলাকায় শুরু হয় পৌষ সংক্রান্তি উপলক্ষে গঙ্গামেলা ও হরিনাম সংকীর্তন।

নিজস্ব চিত্র

কৃষি জমির ধারে শুরু হওয়া এই মেলার উদ্দেশ্য ছিল এলাকার কৃষি ব্যবস্থার উন্নতি সাধন। বছর তিনেক পরে আমকান্দলা মৌজার বাসিন্দাদের সঙ্গে সামান্য মনোমালিন্য হওয়ার কারণে তারা মেলায় অংশগ্রহণ করতে অপারগ হয় । ফলে মেলার জৌলুস ভাব সামান্য কমে যায়। কিন্তু মেলা মঙ্গলপাড়া গ্রামের বাসিন্দাদের উদ্যোগে ধারাবাহিকভাবে চলে। কুবাই নদীতে বসে গঙ্গা ও ভগীরথের বিগ্রহ মূর্তি । পরে কুবাই নদীর পাড়ে কৃষি জমির পাশে গঙ্গা মেলার জন্য নির্দিষ্ট হরিমন্দির বেদি ও কালী মন্দির স্থাপন করা হয় ।

নিজস্ব চিত্র

এমতাবস্থায় প্রতিবছর মকর সংক্রান্তির দিন মেলা চলতে থাকে। সাম্প্রতিক কয়েক বছর আগে এই মেলা কমিটির সঙ্গে প্রতিবেশী আমকান্দলা, চাঁদাবিলা, ভান্ডারবেড়, হাসামারা, মাতালিয়া, নদাশুলি, চোরকুল সহ ঘাগরা গ্রাম এসে যোগ দেয় । একদিনের এই মেলা পুনরায় জৌলুস ফিরে পায় । ওই গ্রামগুলির মুষ্টিমেয় বাসিন্দাদের নিকট হতে পৌষ মাসের প্রথম থেকে চলে ধান,চাল ও নগদ পয়সা আদায় । তাদের সহযোগীতাতেই এই মেলা নতুনভাবে সেজে উঠে । একদিনের এই মেলার বর্তমানে বাজেট প্রায় ৫০,০০০ টাকা।

নিজস্ব চিত্র

মেলা কমিটির বর্তমান সদস্য নিমাই কোলে, রাজু হাতি ও প্রয়াত সত্যসাধন পালের পুত্র অসিত পালেদের কথায় “একদিনের মেলার জন্য সারা মাস ধরে ধান, চাল ও নগদ পয়সা আদায় করি। এলাকার মানুষ জাতি -ধর্ম- বর্ণ নির্বিশেষে কৃষিপ্রধান এলাকার গঙ্গামেলাতে স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করে। মেলাকে কেন্দ্র করে প্রচুর মানুষের সমাগম হয় ।”

নিউজফ্রন্ট এর ফেসবুক পেজে লাইক দিতে এখানে ক্লিক করুন
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here