শুভম বন্দ্যোপাধ্যায়, কলকাতাঃ
করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে বিশ্বজুড়েই চলছে রোগীদের মত চিকিৎসকদেরও মৃত্যু মিছিল। এ রাজ্যে ইতিমধ্যেই শহিদ হয়েছেন ১২ জন চিকিৎসক।
তার মধ্যে নবতম সংযোজন ই এম বাইপাসের পাশের মুকুন্দপুর আরএন টেগোর হাসপাতাল এর কার্ডিওথোরাসিক ভাসকুলার কনিষ্ঠতম সার্জন ৩৬ বছর বয়সী নীতিশ কুমার। একই সঙ্গে ১২ দিন লড়াই করার পর করোনার কারণে মৃত্যু হয়েছে বিধাননগর পুরসভার ৬ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সুভাষ বোসেরও।
কি ভাবে মৃত্যু হল ওই তরুণ চিকিৎসকের? জানা গিয়েছে, বিহারের নালন্দা মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস পাশ করে এমডি করছিলেন নীতিশ কুমার। আরএন টেগোর হাসপাতালে পোস্ট গ্রাজুয়েট ট্রেনি হিসেবে কাজ করছিলেন। বাড়িতে এক রত্তি সন্তান এবং স্ত্রীকে রেখেই করোনা মোকাবিলায় ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন এই তরুণ চিকিৎসক। আর তারপরেই নিজে আক্রান্ত হন করোনা ভাইরাসে। আরএন টেগোর হাসপাতালে ২০ দিন ধরে চলছিল। যদিও দ্রুত তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হচ্ছিল।
আরও পড়ুনঃ মেডিক্যাল কলেজের সহকারী সুপার পরপর দু’বার করোনা আক্রান্ত, সতর্কবার্তা চিকিৎসকদের
গত কয়েকদিন আগে চিকিৎসক নীতীশ কুমারকে প্লাজমা থেরাপিও করা হয়। তার ফুসফুস কাজ করা প্রায় বন্ধই করে দেওয়ায় তাকে ভেন্টিলেশনে দিতে হয়। এমনকি শেষ ১১ দিন কৃত্রিমভাবে ফুসফুসকে কাজ করানোর জন্য এক্সট্রাকর্পোরিয়াল মেমব্রেন অক্সিজেনেশন বা ইকমো মেশিনের সাপোর্টও দেওয়া হয়। শেষ চেষ্টা হিসেবে করোনা জয়ীরও প্লাজমাও দেওয়া হয়েছিল নীতীশকে। তার পরেও শেষরক্ষা হল না। মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে তিনটে নাগাদ মৃত্যু হয় এই তরুণ চিকিৎসকের।
আরও পড়ুনঃ দেশে একদিনে করোনা আক্রান্ত ৫২ হাজারের বেশি মানুষ
একই ভাবে করোনা সংক্রমণে মৃত্যু হল বিধাননগর কর্পোরেশনের ৬ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সুভাষ বোসের। করোনা সংক্রমনের সময়েও রাস্তায় নেমে সাধারণ মানুষের কাজ করেছিলেন তিনি। বাগুইআটি এলাকার এই কাউন্সিলর করোনা উপসর্গ নিয়ে ২৪ জুলাই থেকে বাইপাসের ধারে একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন।
কাউন্সিলরের স্ত্রী ও পুত্রও করোনায় আক্রান্ত হয়ে বাইপাসের ধারে বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি। টানা ১২ দিন লড়াইয়ের পর বুধবার সকাল সাড়ে পাঁচটা নাগাদ করোনা লড়াই শেষ হয় ওই কাউন্সিলরের। তাঁর মৃত্যুতে শোকপ্রকাশ করে ট্যুইট করেছেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584