‘সঠিক’ অ্যাম্বুল্যান্সে না আনায় ফেরালো গুজরাটের হাসপাতাল, শ্বাসকষ্টে মারা গেলেন বাঙালি অধ্যাপক

0
90

নিজস্ব সংবাদদাতা, ওয়েব ডেস্কঃ

করোনা রোগীকে ‘সঠিক’ অ্যাম্বুল্যান্সে না আনায় ফেরালো গুজরাটের হাসপাতাল। মোদি-শাহের রাজ্যে কোভিড হাসপাতালের ‘সঠিক’ অ্যাম্বুল্যান্সের যুক্তিতে মারা গেলেন বাঙালি অধ্যাপক। গুজরাট সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটির স্নায়ুবিজ্ঞান বিভাগের ডিন ইন্দ্রানী বন্দ্যোপাধ্যায় করোনা আক্রান্ত হন। শ্বাসকষ্ট শুরু হওয়ায় হাসপাতালে ভর্তির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

Gujarat Professor | newsfront.co
ইন্দ্রানী বন্দ্যোপাধ্যায়। ছবি : ইন্ডিয়া টুডে

অধ্যাপিকার ছাত্রছাত্রী ও সহকর্মীরা জানান, রক্তে অক্সিজেন স্যাচুরেশন দ্রুত কমতে থাকে তাঁর। সঙ্গে সঙ্গে একটি গাড়ি করে গান্ধীনগরের একটি কোভিড হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় ইন্দ্রানীকে। কিন্তু সেখানে তিল ধারণের ঠাঁই ছিল না, বাধ্য হয়ে ইন্দ্রানীকে একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যান তাঁরা। সেখানে পাওয়া যায়নি বাইপ্যাপ অক্সিজেন কনসেনট্রেটর ও ভেন্টিলেটর কম থাকায় আমেদাবাদ পুরসভার কোভিড হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে।

ইন্দ্রাণীর সহকর্মী ও ছাত্রছাত্রীরা জানিয়েছেন, শুক্রবার সন্ধ্যায় অধ্যাপিকার শ্বাসকষ্টের সমস্যা শুরু হয়। এক সময় তাঁর অক্সিজেন সম্পৃক্ততার মাত্রা ৯০-৯২ শতাংশে নেমে যায়। সঙ্গে সঙ্গে একটি গাড়িতে তাঁকে গান্ধীনগরে একটি কোভিড হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তবে সেখানে তিলধারণের জায়গা না থাকায় তাঁকে অন্যত্র নিয়ে যাওয়ার জন্য সহকর্মীদের অনুরোধ করেন ইন্দ্রাণী।

আরও পড়ুনঃ উত্তরপ্রদেশের তৃতীয় ‘উপলোকায়ুক্ত’ হিসেবে নিযুক্ত হলেন বাবরি মামলার বিশেষ সিবিআই বিচারক

এবার একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে। তবে সেখানে বাইপ্যাপ অক্সিজেন কনসেন্ট্রেটর এবং ভেন্টিলেটর কম থাকায় আমেদাবাদ পুরসভার কোভিড হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় ইন্দ্রানীকে। তাঁরা জানান পুরসভার নিয়ম মেনে ‘এমআরএই-১০৮’ অ্যাম্বুল্যান্সে আনা হয়নি তাঁকে, তাই ভর্তি নেওয়া যাবে না। বাধ্য হয়ে আবার গান্ধীনগর হাসপাতালে ফেরত যান তাঁরা। ততক্ষনে ইন্দ্রানীর রক্তে অক্সিজেন স্যাচুরেশন নেমে গিয়েছে ৬০-এ।

আরও পড়ুনঃ মোদির কেন্দ্র বারাণসীতে ছাত্র সংসদের ভোটে বড়সড় হার এবিভিপির

রাত ২টো নাগাদ একটি বাইপ্যাপ অক্সিজেন মেশিনের ও ভেন্টিলেটর জোগাড় করতে পারে হাসপাতাল। কিন্তু ততক্ষণে অনেক দেরি হয়ে গিয়েছে। ইন্দ্রানীর ঘনিষ্ঠ একজন জানান, গান্ধীনগর হাসপাতালে রাতে বাইপ্যাপ অক্সিজেন মেশিন ও ভেন্টিলেটর ব্যবস্থা করা হলেও ফুসফুসে দ্রুত সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ায় আর কিছুই করা যায়নি।

ইন্দ্রানী ছিলেন স্নায়ুবিজ্ঞানের-এর বিশেষজ্ঞ এবং ভাবা অ্যাটোমিক রিসার্চ সেন্টার-এর পোস্ট ডক্টরাল ফেলো । এছাড়া, বিদেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানেও পড়াতেন তিনি।

নিউজফ্রন্ট এর ফেসবুক পেজে লাইক দিতে এখানে ক্লিক করুন
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here