নিজস্ব সংবাদদাতা, ওয়েব ডেস্কঃ
শনিবার সন্ধ্যে ৭ টা ৪১ মিনিট। এটি ২০২০ সালের এক অভিশপ্ত সময়। কেরলের কোঝিকোড় বিমানবন্দরে এয়ার ইন্ডিয়া এক্সপ্রেসের বিমান দুর্ঘটনায় এখনও পর্যন্ত প্রাণ হারিয়েছেন ২ পাইলট সহ মোট ১৮ জন। ওই বিমানে ছিলেন দুই পাইলট সহ ১৯০ জন যাত্রী।
কীভাবে দু’টুকরো হল বিমান? প্রকাশ্যে এল এক প্রত্যক্ষদর্শীর জবানবন্দি। অভিশপ্ত ওই বিমানের যাত্রী ছিলেন তিনি। আপাতত কোঝিকোড়ের এক নার্সিংহোমে তিনি চিকিৎসাধীন। সংবাদসংস্থা এএনআইকে ওই ব্যক্তি বলেন, “বিমান যখন প্রচন্ড শব্দে নীচে নামছে, আমরা ভারসাম্য রাখতে সিটের হাতল চেপে ধরি।
আরও পড়ুনঃ বিমান দুর্ঘটনায় আহত-নিহতদের পরিবারকে আর্থিক সাহায্য ঘোষণা কেন্দ্রের
কিন্তু শেষরক্ষা হয়নি। চোখের সামনে ভাগ হয়ে গেল বিমান। কেউ বলছেন, দুই পাইলট মারা গিয়েছে। কেউ বলছেন শিশু, মহিলারাও মারা গিয়েছেন। কেউ বলছেন শিশু, মহিলারাও মারা গিয়েছেন। সকালে কাগজে দেখলাম ১৮ জন মারা গিয়েছে। আবহাওয়ার খামখেয়ালিপনা এর জন্য দায়ী।”
তিনি আরও বলেছেন, “আমার আশপাশে সবাই কাঁদছিল। যদি এই বিমানবন্দরে নামতে সমস্যা থাকতো, তাহলে অন্য কোথাও নামতো। চোখের সামনে যা দেখেছি স্বপ্নের মতো লাগছে। হয়তো এটাই ভগবানের ইচ্ছা ছিল।”
শনিবার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে অসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রী হরদীপ সিং পুরী বলেন, পর্যাপ্ত জ্বালানি নিয়েই কোঝিকোড় বিমানবন্দরে অবতরণ করছিল।
আরও পড়ুনঃ উদ্ধার হল এয়ার ইন্ডিয়ায় দুর্ঘটনাগ্রস্ত বিমানটির ব্ল্যাক বক্স
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলেছেন, “আমি এয়ার ইন্ডিয়ার সিএমডি’র সঙ্গে কথা বলেছি। প্রশ্ন করেছি পাইলটের কাছে কতটা জ্বালানি ছিল? উত্তর ছিল, পর্যাপ্ত। অর্থাৎ অন্য কোথাও এই বিমান অবতরণ করানোই যেত। কিন্তু আমাদের এখন অপেক্ষা করতে হবে।
তদন্ত শেষ করতে দিতে হবে।” এদিন দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে সংবাদমাধ্যমকে মন্ত্রী আরও বলেছেন, “মর্মাহত। যে ১৮ জন মারা গিয়েছেন, তাঁদের পরিবারের সঙ্গে আমরা সমব্যাথী। মৃতদের পরিবারকে ১০ লক্ষ ক্ষতিপূরণ আর গুরুতর আহতদের ২ লক্ষ টাকা দেওয়া হবে। লঘু জখমের ৫০ হাজার টাকা দেওয়া হবে।”
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584