শুভম বন্দ্যোপাধ্যায়, কলকাতাঃ
শুক্রবার নামাজের দিনে এলাকায় কেউ না থাকার সুযোগে ঘরে ঢুকে মা ও দুই মেয়েকে ধারালো অস্ত্র ও শিলনোড়া দিয়ে আঘাত করে পালিয়ে গিয়েছিল অভিযুক্ত সুলতান আনসারি। কিছুক্ষণের মধ্যেই একবালপুর থানায় গিয়ে আত্মসমর্পণ করে সে। ঘটনায় সঙ্গে সঙ্গে মৃত্যু হয় মা আকিদা বেগমের।

হাসপাতালে ভর্তি ছিল বড় মেয়ে সাগুফতা ও ছোট মেয়ে তাইবা। ৭ দিন ধরে লড়াই চালানোর পর অবশেষে হার মানতেই হল ছোট মেয়ে তাইবাকে।উল্লেখ্য, গত শুক্রবার একবালপুরের ৬০ নম্বর সুধীর বোস রোডের এক বহুতলের একটি ফ্ল্যাটে ধারালো অস্ত্র নিয়ে হামলা চালায় সুলতান আনসারি নামে এক যুবক, যে মৃত মহিলার স্বামীর খুড়তুতো ভাই।
প্রাথমিক তদন্তে উঠে আসে পারিবারিক বিবাদের জেরেই মা ও দুই মেয়েকে খুনের চেষ্টা করে সুলতান। এমনকি খুন করার পর হায়দরাবাদে পালিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করে টিকিটের ব্যবস্থাও করে রেখেছিল ধৃত সুলতান আনসারি। কিন্তু শেষ মূহুর্তে নিজেই সিদ্ধান্ত বদলে খুনের পর আত্মসমর্পণের সিদ্ধান্ত নেয় সুলতান আনসারি। ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করা হয় বড় ছুরিও।
আরও পড়ুনঃ প্রেমিকের সাথে অশান্তির জেরে আত্মহত্যার চেষ্টা আজাদগড়ে
যদিও খুনের পর তার এভাবে আত্মসমর্পণের ঘটনায় চমকে গিয়েছিলেন তদন্তকারীরা। কিন্তু পরবর্তীকালে অভিযুক্তকে জেরা করে জানা যায়, খুনের পর শেষ মূহুর্তে পালাতে যাওয়ার সময়ে তাকে দেখে ফেলে অনেক লোকজন।
পরে পুলিশ এসে তাকে ধরে ফেলবে, এ ব্যাপারে কোন সন্দেহ ছিল না। তাই আত্মসমর্পণ করলে যদি সাজা কিছুটা কমে, সেই আশাতেই ধরা দেয় অভিযুক্ত।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584