মণীশ শুক্লা খুনে গ্রেফতার আরও ১

শুভম বন্দ্যোপাধ্যায়, কলকাতাঃ

এর আগে দুজন অন্য ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হলেও এবার সরাসরি শাসক দলের এক নেতাকে গ্রেফতার করল সিআইডি। ফলে মণীশ শুক্লা খুনে আরও পাকা হচ্ছে শাসক দলের যোগ। মঙ্গলবার গভীর রাতেই গ্রেফতার করা হয় টিটাগড়ের দাপুটে তৃণমূল নেতা নাসির খানকে।

সূত্রের খবর এই নাসির খানই ভাড়াটে খুনিদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল। আবার নাসির খান নিজেও গুলি চালিয়েছিল বলে তদন্তকারীরা মনে করছেন। এই নিয়ে মণীশ হত্যাকাণ্ডে ৩ জনকে গ্রেফতার করা হল।

সূত্রের খবর নাসিরই গুলি চালিয়েছিল মণীশের উপর। এফআইআরে তাই নাসিরের নাম উল্লেখ করেছিলেন মণীশের বাবা। মঙ্গলবার সকালে আরও ২ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তার মধ্যে খুররমের সঙ্গে একাধিক তৃণমূল কংগ্রেস নেতার যোগাযোগের হদিশ মিলেছে।

আরও পড়ুনঃ মণীশ শুক্লা হত্যাকান্ডে ব্যারাকপুর থেকে গ্রেফতার ২

অন্যদিকে, মৃত মণীশ শুক্লার বাবা চন্দ্র মনি শুক্লা তার ছেলের খুনের ঘটনায় মূল অভিযুক্ত হিসেবে ব্যারাকপুর পুরসভার পুর প্রশাসক উত্তম দাস ও টিটাগড় পুরসভার পুর প্রশাসক প্রশান্ত চৌধুরীর বিরুদ্ধে টিটাগড় থানায় মঙ্গলবার লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।

সিআইডির দাবি, খুনের আগে মণীশের উপর নজর রেখেছিল নাসির খানই। এমনকি ভাড়াটে খুনিদের সঙ্গেও যোগাযোগ করেছিলেন তিনি। টাকার হিসেব নিয়েও কথা বলেছিলেন তিনি। পরে নিজের চেষ্টায় গুলাব শেখ নামে ধৃত ওই খুনিকে নিয়ে আসে মহম্মদ খুররম। নাসিরকে জেরা করে একাধিক তথ্য প্রকাশ্যে আসবে বলে মনে করছেন সিআইডির তদন্তকারীরা।

আরও পড়ুনঃ মণীশের মৃত্যুতে মুকুল-দিলীপ দূরত্ব স্পষ্ট দাবি রাজনৈতিক মহলের

জানা গিয়েছে, টিটাগড়ের বাসিন্দা নাসির খান, দাপুটে তৃণমূল নেতা হিসেবে এলাকায় পরিচিত। প্রাথমিক তদন্তে সিআইডি আধিকারিকদের অনুমান, মণীশ শুক্লাকে খুনের পিছনে তার বড়সড় ভূমিকা ছিল। বিজেপির দাবি এই ঘটনায় শাসকদলের যোগসাজশের অভিযোগ তারা করছিলেন, তা এবার পুলিশের তৎপরতা প্রমাণিত হল।

তবে যেহেতু এই ঘটনায় তৃণমূল এবং পুলিশের যোগসাজশের অভিযোগ তারা তুলেছিলেন, তাই ছোটোখাটো তৃণমূল নেতাদের গ্রেফতার করিয়ে নিজেদের ভাবমূর্তি স্বচ্ছ করতে চাইছে তৃণমূল। এদের পরে জামিনও করিয়ে নেওয়া যাবে। এই ঘটনার পেছনে আরও বড় রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র রয়েছে এবং তার পেছনে রয়েছে আরও বড় রাজনৈতিক মস্তিষ্ক। সেই কারণে এই ঘটনার স্বচ্ছ তদন্ত হওয়া প্রয়োজন।