মেডিক্যাল কলেজের সহকারী সুপার পরপর দু’বার করোনা আক্রান্ত, সতর্কবার্তা চিকিৎসকদের

0
62

শুভম বন্দ্যোপাধ্যায়, কলকাতাঃ

একবার করোনা সংক্রামিত হয়ে সুস্থ হয়েও রক্ষে নেই। ফের করোনা সংক্রমণের মুখে পড়তে হচ্ছে অনেককে। ঠিক যেমন অভিজ্ঞতা হল কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের এক সহকারী সুপারের। একবার করোনা সংক্রমণের ধাক্কা সামলে সেরে উঠেও ফের তিনি সংক্রমিত হলেন সেই করোনা সংক্রমণেই।

Medical college | newsfront.co
ফাইল চিত্র

জানা গিয়েছে, রিপন স্ট্রিটের বাসিন্দা ওই সহকারী সুপার এবং আরও এক সুপার, দুজনেই বেশ কয়েকদিন আগে করোনা পজিটিভ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন। তবে চিকিৎসার পর ৭ দিন নতুন করে কোনো উপসর্গ না থাকায় তাঁদের ৭ দিন পর হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয় এরপর তাঁদের বাড়িতেই আইসোলেশন থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়। এর মধ্যে তিনি আরও একবার করোনা পরীক্ষা করে দেখেন যে রিপোর্ট নেগেটিভ। এরপর সেই সহকারী সুপার হাসপাতালে এসে কাজে যোগ দেন।

৭ দিন কাজ করার পর তাঁর হঠাৎ করেই ফের ডায়রিয়া, কাশি শুরু হয়। আবারও তাঁকে মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে এসে করোনা পরীক্ষা করলে দেখা যায়, তার রিপোর্ট পজিটিভ। তবে এবার করোনা আক্রান্ত হওয়ার রিপোর্ট পাওয়ার পর তাকে বাড়িতেই আইসোলেশনে থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

আরও পড়ুনঃ অমিত শাহের পর আরেক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী করোনা আক্রান্ত,তৈল মন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান

কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে সুপার ডা: ইন্দ্রনীল বিশ্বাস জানান, দ্বিতীয় বার করোনা আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা নিঃসন্দেহে ব্যতিক্রমী। তবে কি কারণ সেটা বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা খতিয়ে দেখবেন। এই সহকারী সুপার এখন সুস্থই আছেন। অন্যদিকে মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান নির্মল মাজি জানান, গোটা বিষয়টি সল্টলেকে স্বাস্থ্য ভবনে জানানো হয়েছে। কেন এরকম হল, তা নিশ্চয়ই খতিয়ে দেখা হবে। এনিয়ে অযথা আতঙ্কিত হওয়ার কোনো কারণ নেই।

তবে এই ঘটনা নিয়ে কি বলছেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা? কলকাতা মেডিকেল কলেজের এক চিকিৎসকের মতে, সাধারণত কেউ করোনা সংক্রমিত হলে তার শরীরে অ্যান্টিবডি তৈরি হলে তবেই তিনি ওই রোগ থেকে বেরিয়ে আসতে পারেন।

আরও পড়ুনঃ রিপোর্ট না আসা পর্যন্ত বাড়িতে ফেরা যাবে না! একদিন পথেই কাটল অসুস্থ বৃদ্ধর

কিন্তু প্রাথমিকভাবে মানুষ রোগ প্রতিরোধ করলেও সারা শরীরে অ্যান্টিবডি তৈরি হতে বেশ কিছুদিন সময় লাগে। সেই কারণেই করো না নেগেটিভ হওয়ার পরেও কিছুদিন আইসোলেশন থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়। এই সময়ে রিপোর্ট করে নেগেটিভ দেখালেও করোনার বিরুদ্ধে তৈরি হওয়া অ্যান্টিবডি মানুষের শরীরে কিছুটা কম থাকতেই পারে। সেই সময়ে ফের করোনা সংক্রামিত রোগীর সংস্পর্শে এলে পুনরায় করোনা সংক্রমনের সম্ভাবনা থাকতে পারে।

তবে সাধারণত প্রথমবার করোনা সংক্রমিত রোগীর থেকে দ্বিতীয় বার করোনা সংক্রামিত রোগীর বিপদের সম্ভাবনা তুলনামূলক কম এবং সে প্রথম বারের তুলনায় আরও বেশি তাড়াতাড়ি সুস্থ হতেও পারে। সেই কারণেই প্রথমবার সুস্থ হয়ে ওঠার পরেও দ্রুত যে কোনও কাজে যোগ দিতে বারণ করছেন চিকিৎসকরা।

নিউজফ্রন্ট এর ফেসবুক পেজে লাইক দিতে এখানে ক্লিক করুন
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here