নিউজ ফ্রন্ট ,ওয়েব ডেস্কঃ
দশটা-পাঁচটার অফিস সাধারণ মানুষের জন্য ভগবানের জন্য না। দীর্ঘদিন অফিসে গরহাজির থাকার কারণ জিজ্ঞাসা করতেই গুজরাটের বাসিন্দা রমেশ চন্দ্র ফেফার জানিয়েছিলেন, তিনি সাধারণ মানুষ নন, তিনি আসলে ভগবান বিষ্ণুর কল্কি অবতার (Kalki Avatar)। তাঁকে বোঝানোর বহু চেষ্টা করা হলেও তিনি নিজের মন্তব্যেই অনড় ছিলেন। শেষমেশ তাঁর আবেদনের ভিত্তিতে মেয়াদের আগেই অবসর দিয়েছিল সরকার। এবার তাঁর নতুন দাবি, দ্রুত গ্রাচুইটি(Gratuity)-র টাকা না দিলে গোটা বিশ্বে খরার সৃষ্টি করবেন তিনি!
গুজরাটের জলসম্পদ বিভাগের সুপারিন্টেন্ডেন্ট ইঞ্জিনিয়ার রমেশ চন্দ্র ফেফার ২০১৮ সালে ছয় মাসে কেবল ১৮ দিন অফিস যান। সেইজন্য তাঁকে শো-কজ করা হয়। তার উত্তরে তিনি জানান, ভগবান বিষ্ণুর কল্কি অবতার তিনি। দেশ তথা গোটা বিশ্বের বৃষ্টিপাতের দায়িত্ব তাঁর উপর। সেই কারণেই নিয়মিত অফিসে আসা তাঁর পক্ষে সম্ভব নয়। পরে চাপে পড়ে তিনি অবসর গ্রহণ করেন। মেয়াদের আগেই অবসর নেওয়ার কারণে যে মোটা অঙ্কের গ্রাচুইটির টাকা পাওয়া যায়, তার দাবি করতে থাকেন তিনি।
গ্রাচুইটি বাবদ ১৬ লক্ষ টাকা এবং একবছরের বেতন বাবদ আরও ১৬ লক্ষ টাকা দাবী করেন তিনি। কিন্তু এখনও অবধি সেই টাকা না মেলায় গত ১ জুলাই তিনি জলসম্পদ বিভাগের প্রধান আধিকারিকের কাছে চিঠি লিখে জানান, “সরকারে বসে থাকা শয়তানরা আমার টাকা আটকে রেখে হেনস্থা করছে। যদি বকেয়া টাকা মেটানো না হয়, তবে আমি এই বছরই গোটা বিশ্বে খরার সৃষ্টি করবো”।
আরও পড়ুনঃ সাম্প্রদায়িক ঐক্য ছাড়া কখনই দেশের প্রকৃত উন্নয়ন সম্ভব নয়: আরএসএস প্রধান
তিনি আরও বলেন, “বিগত ২০ বছরে একবারও খরা হয়নি। ভাল বৃষ্টিপাতের জন্য ২০ লক্ষ কোটি টাকা লাভ করেছে দেশ। এরপরও আমাকে হেনস্থা করছে। আমি বিষ্ণুর দশম অবতার, সত্যযুগে আমার শাসন চলে। আমি এই বছর গোটা বিশ্বে খরার সৃষ্টি করব।”
আরও পড়ুনঃ আনলকের সিদ্ধান্তের আগেই করোনাকে সঙ্গে নিয়ে বাঁচার পরামর্শ ব্রিটেন প্রধানমন্ত্রীর
চিঠির প্রাপ্তি স্বীকার করে জলসম্পদ বিভাগের আধিকারিক বলেন, “উনি কাজ না করেই বেতনের দাবি করছেন। ওনার মানসিক অবস্থার দিকটি বিবেচনা করেই ওনাকে মেয়াদের আগে অবসর নেওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। নাহলে কারোর বিরুদ্ধে তদন্ত চলাকালীন তিনি কখনও অবসর নিতে পারেন না।”
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584