শুভম বন্দ্যোপাধ্যায়, কলকাতাঃ
৪-৫ দিন আগে সিটি স্ক্যান করিয়েও মেলেনি রিপোর্ট। ফলে অসুস্থ বৃদ্ধের ঠিক কি চিকিৎসা করতে হবে, তা বুঝতেই পারলেন না চিকিৎসকরা। ফলত মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়তে হল ৭৫ বছর বয়সী ওই বৃদ্ধের নাম বিপুল রাহাকে। আর এই ঘটনায় কোনও চিকিৎসকের গাফিলতি নয়, বরং আঙুল উঠেছে নীলরতন সরকার মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল চত্বরে থাকা একটি বেসরকারি ল্যাবরেটরির দিকে।
জানা গিয়েছে, পিপিপি মডেলে এনআরএস মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে সিটি স্ক্যানের দায়িত্বে থাকা ওই বেসরকারি সুরক্ষা ল্যাবরেটরিতেই সিটিস্ক্যান, এমআরআই থেকে করোনা পরীক্ষার মত একাধিক চিকিৎসা হয়।
সূত্রের খবর, দীর্ঘদিন ধরে পেটে ব্যথা ছিল ওই বৃদ্ধের। সম্প্রতি তাঁর পেটের সিটি স্ক্যান করা হয়। কিন্তু ওই সিটি স্ক্যানের রিপোর্ট আসতে ৪-৫ দিন দেরি হয়ে যায়। এই দেরি হওয়ার ফলেই চিকিৎসা শুরু করা যায়নি বলে অভিযোগ করেছেন পরিবারের সদস্যরা।
আরও পড়ুনঃ জ্বর কমেছে, দিলীপ ঘোষের অবস্থা এখন স্থিতিশীল
জানা গিয়েছে, বেসরকারি ল্যাবে এইসব পরীক্ষার খরচ অনেক বেশি হলেও কিন্তু সরকারি হাসপাতালের সঙ্গে যুক্ত বেসরকারি ল্যাবগুলিতে খরচ কম। কিন্তু খরচ কম বলে সেখানে যদি রিপোর্ট দিতে এত দেরি হয়, তাহলে তো রোগীর প্রাণহানির মত ঘটনা ঘটে যাবে।
আরও পড়ুনঃ ছত্রধরের অসুস্থতা বিষয়ে জানতে চেয়ে ঝাড়গ্রামের সিএমওএইচ-কে চিঠি এনআইএ-র
এনআরএস হাসপাতালের সুপার অবশ্য জানিয়েছেন, তিনি এই বিষয়ে কিছুই জানেন না। তাই কোনও মন্তব্য করবেন না। অন্যদিকে সুরক্ষা ল্যাবরেটরির মালিক সঞ্জয় ব্রিজলালকার তরফে জানানো হয়েছে, খরচ কমে যাওয়ায় রিপোর্ট পেতে দেরি হচ্ছে এই অভিযোগ ঠিক নয়।
তাঁদের দাবি, করোনা পরিস্থিতিতে এমনিতেই চিকিৎসকরা কোভিড রোগীদের নিয়ে ব্যস্ত। তাই তাঁদের ল্যাবেও কর্মীর সংখ্যা কম। কিন্তু সরকারি হাসপাতালে ল্যাব থাকায় খরচ কম হওয়ায় সেখানে রোগীর ভিড় বেশি হচ্ছে। আর তার ফলেই এই দেরি হচ্ছে। কখনই তারা ইচ্ছাকৃত দেরি করেন না। এটি নেহাৎই একটি দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584