শরীয়তুল্লাহ সোহন, ওয়েব ডেস্কঃ
উৎসবের আমেজে মেতে উঠেছিল পুরো বাড়ি। বিয়ের সাজে সেজে বিয়ের পিঁড়িতে বসেছিল পাত্র ও পাত্রী দুইজনেই। বর যাত্রী ও কন্যা পক্ষের আমন্ত্রিত সদস্যদের উপস্থিতিতে এক দারুন সমারোহে চলছিল বিয়ের পর্ব। ঠিক সেই সময়েই এক ব্যক্তির বন্দুক নিয়ে আক্রমণে পুরো বিয়ের আসরে নেমে এল অপ্রত্যাশিত আর্তনাদ। চোখের পলকেই আনন্দময় পরিস্থিতি জুড়ে তৈরি হল এক বিষাদের বিভীষিকা। চলল গুলি প্রাণ গেল এক জনের, প্রাণের মায়ায় বিয়ের আসর লন্ডভন্ড করে পালালো অনেকে, আহতও হয়েছে কিছু জন।
বিয়েকে কেন্দ্র করে এমন ঘটনা ঘটেছে রবিবার মধ্যে প্রদেশে। ঘটনায় তিনজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বন্দুক নিয়ে হামলাকারী ব্যক্তিগত একজন কট্টর হিন্দুত্ববাদী। গ্রেফতার হওয়া তিন জনের সাথে কোন সংগঠন বা সংস্থার সাথে যোগসূত্র আছে কিনা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। স্থানীয় থানার পুলিশ আধিকারিক অমিত বর্মার বয়ান অনুযায়ী, বিয়েটি হচ্ছিল স্বঘোষিত ধর্মগুরু রামপালের নিময় অনুসারে। বিশেষভাবে উল্লেখ্য, হরিয়ানার বাসিন্দা রামপাল পাঁচ জন মহিলা ও একজন শিশুকে হত্যার দায়ে অভিযুক্ত হয়েছেন।
প্রত্যক্ষদর্শীদের বয়ান অনুযায়ী, হিন্দুত্ববাদী এক ব্যক্তি বিয়ের আসরে ঢুকে অভিযোগ করেন বিয়েটি হিন্দু রীতি রেওয়াজ মেনে হচ্ছেনা। আর এভাবে বিবাহ অবৈধ। তাই তিনি বিবাহ রুখতে তৎপর হয়ে উঠেন। অন্যদিকে বিয়ের আয়োজক রামপাল বলেন, বিবাহটি হচ্ছিল হিন্দু ধর্মের রমাইনি রীতি অনুযায়ী। এই নিময় অনুসারে ১৭ মিনিটে বিবাহ সম্পন্ন হয়। আর এইখানেই আপত্তি তোলেন এই হামলাকারী।
আরও পড়ুনঃ বিএসএফের ক্ষমতা বৃদ্ধির প্রতিবাদ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে মামলা দায়ের করল পাঞ্জাব সরকার
ইতিমধ্যে বিয়ে বাড়ির হামলা নিয়ে নিয়ে একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে, সেখানে দেখা যাচ্ছে একজন বন্দুক উঁচিয়ে লাল কালারের পোশাক পরে চোখে সানগ্লাস পড়ে এগিয়ে আসছে আর সবাই আতঙ্কে হুড়োহুড়ি করে পালাচ্ছে। এর মাঝেই প্রাক্তন গ্রাম প্রধান দেবলাল মীনা গুলিবিদ্ধ হন। তড়িঘড়ি হাসপাতালে নিয়ে গেলে ডাক্তাররা মৃত বলে ঘোষণা করেন। ঘটনায় ১১ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হয়েছে। ইতিমধ্যে তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে, বাকিদের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584