নিজস্ব সংবাদদাতা,পূর্ব মেদিনীপুরঃ
বাড়ি থেকে পালিয়ে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার সৈকত নগরী দিঘায় এসে হাতের শিরা ও গলার নলী কেটে আত্মহত্যার চেষ্টা করলো পশ্চিম মেদিনীপুরের দ্বাদশ শ্রেণীর এক ছাত্র।
হোটেল কর্মীদের সহযোগিতায় ওই ছাত্রকে উদ্ধার করে দিঘা স্টেট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বর্তমানে ঐ যুবক সঙ্কটজনক অবস্থায় চিকিৎসাধীন বলে জানাগেছে। ঠিক কি কারণে ওই যুবক আত্মহত্যার চেষ্টা করলো তা নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। পরিবারের সদস্যরা দিঘাতে আসার জন্য রওনা দিয়েছে বলে জানা গিয়েছে ৷
পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার পিংলা থানার ধনেশ্বরপুর মধ্যবাড় গ্রামের দ্বাদশ শ্রেণীর ছাত্র দীপঙ্কর দাস (১৯) বাড়ি থেকে লুকিয়ে দিঘায় চলে আসে। সকাল থেকে দিঘায় বেড়ানোর পর সন্ধ্যায় ওল্ড দিঘার একটি বেসরকারী হোটেলে এসে ওঠে ঐ যুবক। হোটেলের কর্মচারী একা যুবককে প্রথমে রুম দিতে রাজী হয়নি। সে রুম নেওয়ার জন্য জোরাজুরি করলে অবশেষে হোটেলের কর্মচারী মালিকের সঙ্গে কথা বলতে চলে যান।
আরও পড়ুনঃ শিলিগুড়িতে সেনাবাহিনীর গাড়ির ধাক্কায় মৃত্যু হল এক ব্যক্তির, চাঞ্চল্য
পরক্ষণে ফিরে এসে দেখে ধারালো অস্ত্র দিয়ে হাতের শিরা ও গলায় নলী কেটে আত্মহত্যা করার চেষ্টা করছে ওই যুবক। হোটেল কর্মীরাই দ্রুত উদ্ধার করে ঐ যুবককে দিঘা হাসপাতালে ভর্তি করে ৷এই ঘটনার খবর দেওয়া হয় দিঘা উপকুল থানার পুলিশকে।
আরও পড়ুনঃ ভগবানগোলায় নাবালিকা ধর্ষণে অভিযুক্ত গৃহশিক্ষকের হয়ে সাফাই তৃণমূলের
ওই যুবক সঙ্কটজনক অবস্থায় চিকিৎসাধীন বলে হাসপাতাল সূত্রে জানাগেছে । পুলিশ পর্যটক যুবকের পরিবারের সদস্যদের খবর পাঠিয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে দিঘা উপকুল থানার পুলিশ। এই ঘটনার খবর ছড়িয়ে পড়তেই যথেষ্ট শোরগোল পড়ে গিয়েছে সমুদ্র সৈকত এলাকাজুড়ে।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584