ধর্মঘটে গ্রেফতার ছাত্রী, পরীক্ষা দিলেন অপরাধী সেলে বসে

0
78

উজ্জ্বল দত্ত, কলকাতাঃ

কেন্দ্রীয় ট্রেড ইউনিয়নগুলির ডাকা বন্‌ধে গ্রেফতার এক ছাত্রী, থানার সেলে বসে পরীক্ষা দিচ্ছেন। এই ছবি ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। পুলিশের বিরুদ্ধে উঠেছে, অসহযোগিতার অভিযোগ। ধর্মঘট সফল করতে দুর্গাপুরে পথে নেমে পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয় কলেজ পড়ুয়া জিসানী।

exam in sell | newsfront.co
কোলাজ চিত্র

থানার সেলে বসেই অনলাইনে পরীক্ষা দিলেন ফাইন আর্টসের প্রথম বর্ষের ছাত্রী জিসানী বাগেল (১৯)। কলকাতার গভর্নমেন্ট কলেজ অফ আর্টস অ্যান্ড ক্রাফ্ট এর প্রথম বর্ষের ছাত্রী। দুর্গাপুরের ঋষি অরবিন্দ পল্লীর বাসিন্দা জিসানি বাগেল। তবে, অসহযোগিতার অভিযোগ উড়িয়ে, পুলিশ জানিয়েছে, ‘তাঁদের সহযোগিতায় পরীক্ষায় বসেছে ওই ছাত্রী।’

আরও পড়ুনঃ জঙ্গিপুর স্টেশন মাস্টারকে ডেপুটেশন কংগ্রেসের

বামপন্থায় বিশ্বাসী ছাত্রীর পরিবার। নিজেও সিপিআইএম এর ছাত্র সংগঠন ‘এসএফআই’-এর দুর্গাপুর শাখার লোকাল কমিটির সদস্যা। বৃহস্পতিবার বামপন্থীদের ডাকা দেশ জুড়ে ধর্মঘটে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করে সে। দুর্গাপুরের ডিভিসি মোড় সংলগ্ন, ২নম্বর জাতীয় সড়কের কাছে পুলিশের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে, সকাল এগারোটা নাগাদ গ্রেফতার হন তিনি। দুপুর ১.৪৫মিনিট থেকে, কলেজের প্রথম বর্ষের দ্বিতীয় সেমিস্টারের “আর্ট অ্যান্ড এনভায়রনমেন্ট” বিষয়ে পরীক্ষা ছিল তাঁর।

আরও পড়ুনঃ নবদম্পতিকে ‘টার্গেট বাংলা’ উপহার দিয়ে অভিনব নির্বাচনী প্রচার বিজেপি- র

নিউ টাউনশিপ থানা আধিকারিকদের কাছে, পরীক্ষার কথা জানিয়েও কোন লাভ হয়নি বলে, অভিযোগ করে জিসানী ৷ বলেন, “গণতান্ত্রিক দেশে মানুষের জন্য আন্দোলন করতে নেমে গ্রেফতার হই। পুলিশের কাছে পরীক্ষা দেওয়ার জন্য সাহায্য চাই। কিন্তু পুলিশ, পেন বা কাগজ দিয়ে সাহায্য করেনি। অগত্যা, আবেদনপত্র লেখার জন্য আনা সাদা কাগজে পরীক্ষা দিতে পারি দলের সহকর্মীদের সহযোগিতায়। থানার ভিতরে, অপরাধীদের জন্য বরাদ্দ ঘরে বসেই প্রায় এক ঘন্টা সময় পাই পরীক্ষা দিতে।“

আরও পড়ুনঃ প্রশাসক নয় ভোট চাই দাবিতে মেদিনীপুর পুরসভা ঘেরাও করে বিক্ষোভ বিজেপির

ছাত্রীর বাবা পার্থসারথি বাগেল দুর্গাপুর প্রোজেক্ট লিমিটেড কারখানায় অস্থায়ী কর্মীর কাজ হারিয়ে বর্তমানে ইন্সুরেন্স এজেন্ট। মা চলন্তিকা বাগেল গৃহবধূ। জীবনে নিজের পায়ে দাঁড়ানো একটা বড় চ্যালেঞ্জ জিসানী-র কাছে।

পুলিশি ভূমিকার সমালোচনা করে দিল্লি জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ সম্পাদিকা ঐশী ঘোষ বলেন, “কেন্দ্র এবং রাজ্য সরকার মানুষের অধিকার ছিনিয়ে নিতে চাইছে। যার বিরুদ্ধে পথে নেমেছে ছাত্রসমাজ। বন্‌ধের সমর্থনে জেএনইউ-র ছাত্র-ছাত্রীরা পথে নামায় দিল্লিতে তাদের আট ঘন্টা আটকে রাখে দিল্লি পুলিশ। তেমনি ছাত্রীকে পরীক্ষার সুবিধা থেকে বঞ্চিত করতে চেয়ে ছিল রাজ্য পুলিশ।“

নিউজফ্রন্ট এর ফেসবুক পেজে লাইক দিতে এখানে ক্লিক করুন
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here