মোহনা বিশ্বাস, হুগলিঃ
করোনা আক্রান্ত হলেন চন্দননগরের তৃণমূল সংখ্যালঘু সেলের সভাপতি। রবিবার করোনা পজিটিভ রিপোর্ট আসে তাঁর। এরপরই ওই তৃণমূল নেতার সংস্পর্শে আসা ৭০ জনকে কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হয়েছে বলে জানান হুগলির জেলাশাসক ওয়াই রত্নাকর রাও। এই ঘটনার পর গোটা এলাকা সিল করে দিয়েছে প্রশাসন।
সমগ্র এলাকাকে বাঁশ দিয়ে ঘিরে ফেলা হয়। বন্ধ রাখা হয়েছে চনন্দনগর মহকুমা হাসপাতালের কয়েকটি ওয়ার্ডও। জানা গেছে, করোনা আক্রান্ত তৃণমূল নেতা দিনের দীর্ঘ সময় মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। আর তাই সংক্রমণ রুখতে চন্দননগর মহকুমা হাসপাতালের পুরুষ ও মহিলা, এই দুটি ওয়ার্ড সিল করে দেওয়া হয়।
সম্প্রতি চন্দননগরের উর্দি বাজার এলাকায় দুজনের শরীরে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পরে। এই ঘটনার পরই রবিবার রাতে ওই এলাকার তৃণমূল নেতার শরীরেও এই মারণ ভাইরাসের সংক্রমণ মিলেছে। সূত্রের খবরানুযায়ী, বেশ কিছুদিন ধরেই বাড়ি বাড়ি ঘুরে ত্রাণ বিলি করছিলেন ওই নেতা। চন্দননগরের একটি স্কুলে রান্না করা খাবারই বাড়ি বাড়ি পৌঁছে দিচ্ছিলেন তৃণমূল নেতা। এছাড়াও, উর্দিবাজার এলাকায় লঙ্গরখানা খুলে খাবার বিলি করেছিলেন ওই সংখ্যালঘু সেলের নেতা। নিয়মিত চন্দননগরের একাধিক স্থানীয় নেতার সংস্পর্শে এসেছিলেন করোনায় আক্রান্ত নেতা। এই ঘটনার জেরে আতঙ্কে রয়েছে গোটা এলাকা। এতদিনে ঠিক কতজন মানুষের সংস্পর্শে এসেছিলেন ওই তৃণমূল সংখ্যালঘু সেলের সভাপতি, তার হদিশ পেতে রীতিমতো হিমশিম খাচ্ছে প্রশাসন।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584