ভিন্ রাজ্যে পরিযায়ী মহিলা শ্রমিকের মৃত্যু, সন্তানকে ফেরত পেতে নাকাল আত্মীয়রা

0
155

নিজস্ব সংবাদদাতা,দক্ষিণ দিনাজপুরঃ

দালালের খপ্পরে পড়ে ভিন্ রাজ্যে কাজে গিয়ে প্রাণ হারানো এক স্বামীহারা মেয়ের সাথে থাকা আট বছরের শিশু নাতিকে ফিরে পেতে হয়রানির সম্মুখীন তপনের দাড়ালহাটের সদ্য কন্যাহারা পরিবার।বুধবার সকালে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গেলে ওই ভিন্ রাজ্যে গিয়ে মাতৃহারা শিশুটির দিদা চুড়কি মূর্মু জানান, তার মেয়ে মিনতি সোরেনের কয়েকবছর আগে বিয়ে হয় বালুরঘাটের বিজয়শ্রী গ্রামের মঙ্গল মূর্মুর সঙ্গে ।

rahul murmu | newsfront.co
নাবালক সন্তানের পরিচয়পত্র

বিয়ের কিছু দিন পর তাদের একটি শিশু সন্তানের জন্ম হয়। কিন্তু এরপর তার মেয়ের কপালে নেমে আসে চরম দুর্ভোগ।হঠাৎ করে তার স্বামী মারা যায়। এরপরেই ছেলেকে নিয়ে সংসার চালানো তার দায় হয়ে ওঠে ।তাই কাজের জন্য কয়েকদিন আগে এলাকার এক দালালের মধ্যমে তার স্বামীহারা মেয়ে মিনতি সোরেন ভিন্ রাজ্য পুনেতে কাজ করতে যায় সঙ্গে তার আট বছরের ছেলে রাহুলকে সঙ্গে নিয়ে ৷ কিন্তু দিন কয়েকের মাথায় খবর আসে তার মেয়ে মিনতির হঠাৎ করে নাকি কল পাম্প করতে গিয়ে কাশতে কাশতে মৃত্যু হয়েছে।

minati soren | newsfront.co
মৃত পরিযায়ী শ্রমিকের পরিচয়পত্র

কিন্তু তাদের আর্থিক অবস্থা ভাল না থাকায় তার দেহ দেখতে বা নিয়ে আসা সম্ভবপর হয়নি। পুনেতে থাকা ওরাও কেউ মেয়ের দেহ পাঠায়নি। পাশাপাশি তার আট বছরের নাতিকে সেখানে তারা আটকে রেখেছে। ফেরত পাঠাচ্ছেও না পাশাপাশি ওই শিশুর ভবিষ্যতের কথা ভেবে তেমন কোন ক্ষতিপূরণ দিতে চাইছেনা বলে তিনি অভিযোগ করেন।

আরও পড়ুনঃ ট্যাংরায় বিজেপি কর্মী পেটানোর অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে

তিনি আরও বলেন যেহেতু মেয়ের শ্বশুরবাড়ি বালুরঘাট থানার অধীন তাই সেখানে গতকাল অভিযোগ জানাতে গেলে থানার বড় বাবু না থাকায় এব্যাপারে পরামর্শ করে অভিযোগ জানানো সম্ভবপর হয়নি। শীঘ্রই তারা ফের বালুরঘাট থানার সাথে যোগাযোগ করবেন বলে জানান তিনি। মৃত মালতি সোরেনের মা আর ও বলেন তারা চান তাকে নিয়ে যাওয়া ঠিকাদার উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ দেওয়ার পাশাপাশি অবিলম্বে তার নাতিকে ফিরিয়ে দিক।

আরও পড়ুনঃ কেশপুরে হাতির হানায় মহিলার মৃত্যু

অপরদিকে স্থানীয় বাসিন্দারা ওই অসহায় পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছে তাদের একজন বিষ্ণু মূর্মু জানান, তারাও চান মালতীর কিভাবে ভিন্ রাজ্যে কাজে গিয়ে মৃত্যু হল তা জানার পাশাপাশি তার দেহ যদি সৎকার করা না হয়ে থাকে তবে তার দেহ ফিরিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হোক এবং তার শিশুটিকে ফিরিয়ে নিয়ে আসার ব্যাপারে ওই ঠিকাদার এগিয়ে আসুক।

পাশাপাশি শ্রাদ্ধশান্তি ও শিশুটির ভবিষ্যতের কথা ভেবে উপযুক্ত ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা করে দেওয়া হোক বলে তিনি দাবি করেন।এখন দেখার কবে পুনে থেকে ওই সদ্য কন্যাহারা পরিবারটি তার নাতিকে ফিরে পায় ও তার ভবিষ্যত সুরক্ষিত রাখার জন্য উপযুক্ত আর্থিক ক্ষতিপূরণ পায়।

নিউজফ্রন্ট এর ফেসবুক পেজে লাইক দিতে এখানে ক্লিক করুন
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here