একবালপুরে বস্তাবন্দি মহিলার দেহ উদ্ধার

0
150

উজ্জ্বল দত্ত, কলকাতাঃ 

একবালপুরের মৌলানা মহম্মদ আলি রোডে বস্তাবন্দি অবস্থায় যুবতীর দেহ উদ্ধার ঘিরে চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়। উদ্ধার হওয়া যুবতীর নাম সাবা খাতুন ওরফে নয়না, তিনি বেঙ্গল শাহ ওয়াসসি লেনের বাসিন্দা ছিলেন।পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার বিকেলে বন্ধুর বাড়ি থেকে বের হয় সাবা।

saba khatun | newsfront.co
সাবা খাতুন

তারপর সন্ধ্যা থেকেই তার আর কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি। তার মোবাইল ফোনটি তারপর থেকেই সুইচড অফ ছিল বলে জানা গিয়েছে। এরপর রাত আড়াইটে নাগাদ বাড়ি থেকে কিছুটা দূরে এমএম আলি রোডে সাদা রঙের একটি বস্তা পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয়রা। ভালো করে লক্ষ্য করে সেই বস্তার মধ্যে মানুষের পা দেখতে পান স্থানীয়রা। সন্দেহভাজন বস্তাটির বিষয়ে সঙ্গে সঙ্গেই খবর দেওয়া হয় একবালপুর থানায়।

dead body | newsfront.co
বস্তাবন্দি

ঘটনার খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে আসে একবালপুর থানার পুলিশ। স্থানীয়রা ও পুলিশ মিলে তারপর সেই সন্দেহভাজন বস্তাটিকে এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানেই বস্তা খুলতে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায় ২২ বছরের যুবতী সাবা খাতুনকে। প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশের অনুমান, খুন করা হয়েছে ওই তরুণীকে। কারণ, মৃতার শরীরের বিভিন্ন জায়গায় আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গিয়েছে। ওই তরুণীর গলায় শ্বাসরোধের চিহ্ন মিলেছে। বাঁ হাতের কনুইতেও মিলেছে ক্ষতচিহ্ন। এখন কে বা কারা ওই তরুণীকে খুন করল? কেন খুন করল? প্রভৃতি বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর এখনও অধরা।

আরও পড়ুনঃ হরিদেবপুরে নাবালিকার যৌন হেনস্থা, গ্রেফতার ২

সব সম্ভাবনা খতিয়ে দেখে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে মৃতা সাবা খাতুনের বান্ধবী রেশমাকে। দেহটি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।অন্যদিকে এই ঘটনায় মৃতার কাকা জাকির হোসেন জানিয়েছেন, সাবা সব সময়ই নেশা করত। নেশা করার অভ্যাস ছিল তার। মায়ের মৃত্যুর পর থেকে ওয়াটগঞ্জ এলাকায় দিদার বাড়িতেই ছিল সে। কখনও কখনও আবার বাবার কাছে গিয়েও থাকত।

নেশার অভ্যাস ছাড়ানোর জন্য ওর মামার বাড়ির আত্মীয়েরা সাবাকে মাস ছয়েক একটি রিহ্যাবিলেশন সেন্টারেও রেখেছিল। তারপর সেখান থেকে ফিরে আবার আবার মামার বাড়িতে গিয়েই ওঠে সাবা।তবে কিছুদিন পর থেকে রেশমা নামে ওই বন্ধুর বাড়িতে থাকতে শুরু করে। ইদানিং ওই বন্ধুর সঙ্গে বন্ধুর বাড়িতেই ছিল সাবা।

আরও পড়ুনঃ বাবার প্রয়াণের পরেও ফেসবুকে কুরুচিকর পোস্টের জেরে পুলিশের দ্বারস্থ সৌমিত্র কন্যা পৌলমী

পাশাপাশি আরও জানা গেছে মৃতার জামাই বাবু শেখ গোলাম মইনুদ্দিন আরও বলেন, “নয়না আমাকে বলেছিল, ওর মামারা ওর উপর অত্যাচার করে, তাই ওর ওখানে থাকতে ভালো লাগে না। এখানে বন্ধুর বাড়িতে এসে থাকছিল। একটু নেশা করত। গত সপ্তাহে মত্ত অবস্থায় দেখা গিয়েছিল নয়নাকে।

গতকাল বিকেল ৪টের সময় বিরিয়ানি আনতে বেরিয়েছিল। ওর পেটে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে দেখলাম। যদিও ওর কোনও শত্রু আছে কিনা জানি না।”সবার পরিবারের সদস্যদের জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে পুলিশ। এলাকার সমস্ত সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করে খতিয়ে দেখছে পুলিশ।

নিউজফ্রন্ট এর ফেসবুক পেজে লাইক দিতে এখানে ক্লিক করুন
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here