নিজস্ব সংবাদদাতা,পূর্ব মেদিনীপুরঃ
বুধবার পূর্ব মেদিনীপুর জেলার এগরা থানার বাসুদেবপুর গ্রামে এক গৃহবধূর অস্বাভাবিক মৃত্যু ঘিরে এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে ৷জানা গেছে এই ঘটনায় গ্রামবাসীরা মৃতার শাশুড়ি ও স্বামীকে আটকে রাখে। ঘটনার খবর পেয়ে এগরা থানার পুলিশ মৃত গৃহবধূকে উদ্ধার করে ও মৃতার শাশুড়ি ও স্বামীকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।
রাতে মৃতার বাবার এগরা থানায় অভিযোগ করার ভিত্তিতে মৃতার শাশুড়ি ও স্বামীকে গ্রেফতার করে এগরা থানার পুলিশ। মৃতার দাদা রবীন্দ্র নাথ প্রামানিক বলেন মনীষা ভবানিচক স্কুলে ক্লাস ইলেভেনে পড়তো ,বাড়ি ভবানিচক রসুলপুর দক্ষিণবার গ্রামে।গত তিন মাস আগে পাশের গ্রাম বাসুদেবপুর এর সুব্রত জানার ছেলে সায়ন জানাকে পালিয়ে গিয়ে বিয়ে করে বোন মনীষা। কিন্তু বিয়ের কিছুদিন পর থেকে বোনকে তার স্বামী ও শাশুড়ি চাপ দিতে থাকে ৫০ হাজার টাকা ও আসবাবপত্র নিয়ে আসার জন্য।
আরও পড়ুনঃ সাগরপাড়ায় আত্মঘাতী যুবক
বোন ফোন করে বাড়িতে জানিয়েও ছিল সেই কথা। কিন্তু গতকাল সকালে সায়ন ফোন করে জানায় আমাদের যে আপনাদের মেয়ে অসুস্থ।আমরা বোনের বাড়িতে গিয়ে দেখি বোন মনীষার দেহ মাটিতে শুইয়ে রাখা হয়েছে ৷ বুঝতে পারি বোন আর নেই ৷আমরাই এগরা থানায় খবর দিই।গ্রামের লোকজন বোনের স্বামী সায়ন জানা ও তার শাশুড়ি মনিমালা জানা কে আটকে রাখেন।বোনের শ্বশুর বাড়িতে থাকেন না।আমার বাবা নির্মল প্রামানিক অভিযোগ করেন থানায় যে , ‘আমার মেয়ে মনীষা এক মাসের গর্ববতী।
তাকে তাঁর স্বামী সায়ন ও শাশুড়ি মনিমালা শারীরিক নির্যাতন করে ও যৌতুকের দাবি নিয়ে নৃশংস ভাবে খুন করেছে।তাই আমার মেয়ের দেহ ময়না তদন্ত করে প্রকৃত দোষীরা যাতে শাস্তি পায় তার আবেদন জানাই।’এই পরিপেক্ষিতে এগরা থানার পুলিশ জানান মৃতার বাবার অভিযোগের ভিত্তিতে মৃতা মনীষার স্বামী সায়ন জানা ও শাশুড়ি মনিমালা জানা কে রাতেই গ্রেফতার করা হয়েছে।
আরও পড়ুনঃ বহরমপুরে জমি সংক্রান্ত বিবাদে বোমাবাজি
তবে ময়না তদন্তের রিপোর্ট হাতে এলেই মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে বলে এগরা থানার পুলিশ জানান ।তারপরেই এগরা থানার পুলিশ মৃতদেহটি ময়না তদন্তে পাঠায়। এই ঘটনায় যথেষ্ট শোরগোল পড়ে গিয়েছে গোটা এলাকায়।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584