শ্যামল রায়,বর্ধমানঃ শুক্রবার কালনার কেশবপুর গ্রামে সরকারি উদ্যোগে একটি ফুটবল তৈরীর ক্লাস্টারের উদ্বোধন করলেন রাজ্যের ক্ষুদ্র ছোট ও মাঝারি শিল্প দফতরের মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ।
তিনি উদ্বোধনকালে বলেন যে দীর্ঘদিন ধরেই দেখে আসছি এলাকার বেশ কয়েকজন মহিলা ফুটবল তৈরি করে তাদের সংসার চালিয়ে আসছেন। তাই ঠিক করেছিলাম গ্রামের মহিলারা যখন এই ফুটবল তৈরি করে জীবনযাপন করছেন তখন একটি ফুটবল তৈরির কারখানা করলে এলাকার বহু মহিলা এই শিল্পের সাথে যুক্ত হয়ে স্বনির্ভর হতে পারবেন। তাই এই গ্রামে একটি ফুটবল তৈরীর ক্লাস্টারের তরীর কথা ভেবেছিলাম আজকে তা বাস্তবায়িত হল। গ্রামের 250 জন মহিলাকে এই ফুটবল তৈরির প্রশিক্ষণ দেয়া হবে এবং প্রশিক্ষণ শেষে কাজের বরাত ও তারা পাবেন এর ফলে মহিলারা তাদের সংসারের হাল ধরতে পারবেন এবং ছেলেমেয়েদের লেখাপড়ার খরচা সংসারের খরচাও নিজেরাও অনেকটা বহন করতে পারবেন বলে তিনি আশা প্রকাশ করেছেন।
এদিন উপস্থিত ছিলেন পঞ্চায়েত সমিতির বিদায়ী সভাপতি শ্রাবণী পাল উমাশঙ্কর সিংহ রায় রাজকুমার পান্ডে সহ অনেক বিশিষ্টজনেরা।
এই ফুটবল তৈরীর কারখানার উদ্বোধন নিয়ে খুশি এলাকার মানুষ।
প্রশাসনিক সূত্রে আরো জানা গিয়েছে যে রাজ্যের শবনম ফুটবল তৈরীর নামকরণ দেয়া হয়েছে জয়ী ফুটবল।
জয়ী নামের বাংলার তৈরি ফুটবল ইতিমধ্যেই দেশ বিদেশে পাড়ি দিয়েছে। আরো জানা গিয়েছে রাজ্যে ছয়টি ফুটবল তৈরীর কারখানা আছে। এই ফুটবল তৈরিতে মহিলারাই কারিগর।
এই কালনা ১নম্বর ব্লকের কেশবপুরে রাজ্যের সপ্তম জয়ী ফুটবল তৈরীর কারখানায় কাজ করবেন মহিলারাই। ফুটবল কারখানায় মহিলারা ফুটবল তৈরি করে জীবিকা নির্বাহ করবেন।
আরো জানা গিয়েছে যে বিশিষ্ট জাতীয় দলের প্রাক্তন ফুটবলার বিদেশ বসুর বাড়িও এই কেশবপুর গ্রামে।
তিনিও সরকারের এই ফুটবল তৈরি সংস্থার কমিটিতে যুক্ত থেকে এই কাজকে আরো অনেকটাই এগিয়ে দিয়েছেন বলে দাবি এলাকাবাসীর।
যদিও অনুন্নত এই কেশবপুরে আজ অনেকটাই পাকা রাস্তা হয়েছে হয়েছে পর্যাপ্ত পানীয় জলের ব্যবস্থা হয়েছে পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা তাই পাল্টে গেছে অর্থনৈতিক পরিকাঠামো। আজ ফুটবল তৈরির কারখানা তৈরিতে এই কেশবপুর আগামী দিন একটি ব্যবসায়ী কেন্দ্র হিসাবে গড়ে উঠবে এই আশায় বুক বেঁধেছেন কালনা মহাকুমাবাসি।
এলাকার বাসিন্দা ভগবতী মজুমদার অঞ্জলি ভট্টাচার্য বিপাশা ভট্টাচার্য অনিতা মজুমদার প্রমুখ জানিয়েছেন যে সংসারের যাবতীয় কাজ সেরে দিনে তিনটি করে বল তৈরি করতে পারি যেখানে এটা বেড়ে দাঁড়ায় প্রতিদিন ১৫০ টাকা থেকে ২০০ টাকা।
ভলিবল তৈরি করতে পারলে মজুরি টা আরো বেড়ে যায়।
এই কারখানা তৈরি হলে এলাকার মহিলারা ও স্বনির্ভর হওয়ার সুযোগ পাবেন এবং কাজ করে আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী হতে পারবেন। ফুটবল তৈরীর কারখানা উদ্বোধন হতেই এলাকায় খুশির হাওয়া।
ফিচার ছবি সংগৃহীত।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584