মোহনা বিশ্বাস, ওয়েব ডেস্কঃ
রবিবার বিশ্ব জনসংখ্যা দিবসে আগামী দশবছরের জন্য উত্তরপ্রদেশে নয়া জনসংখ্যা নীতি প্রকাশ করলেন মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। ২০২২-এর বিধানসভা নির্বাচনের আগে উত্তরপ্রদেশে জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণে পদক্ষেপ করতে চাইছে যোগী সরকার। আদিত্যনাথ জানালেন, রাজ্যে প্রজননের হার ২০২৬ সালের মধ্যে ২.১ শতাংশ এবং ২০৩০ সালের মধ্যে ১.৯ শতাংশ করা। বর্তমানে তা রয়েছে ২.৭ শতাংশ। সমাজের বিভিন্ন স্তরের মানুষের কথা মাথায় রেখে এই জনসংখ্যা নীতি আনা হয়েছে বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
যোগী আদিত্যনাথ জানিয়েছেন, “জনসংখ্যা নীতি কেবল জনসংখ্যার স্থিতিশীলতার জন্যই নয়, প্রতিটি নাগরিকের জীবনে সুখ ও সমৃদ্ধি আনবে এই নীতি।” এদিন যোগী বলেন, দুই সন্তানের মধ্যেই ব্যবধান রাখা দরকার। তাহলেই রাজ্যের জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণে আসবে। কিছুদিন আগেই তিনি টুইট করে জানিয়েছিলেন, ‘‘উন্নত সমাজ প্রতিষ্ঠার প্রাথমিক শর্তই হল জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ।’’
মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেছেন, “ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যা বিকাশের পথে বাধা হতে পারে। বিশ্বজুড়ে বিভিন্ন সময় এই নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে। জনসংখ্যা বৃদ্ধির সাথে দারিদ্রও জড়িত রয়েছে। ২০২১-৩০ জনসংখ্যা নীতি নিয়ে সমস্ত সম্প্রদায়কে ভাবনাচিন্তা করতে হবে।”
আরও পড়ুনঃ “ভোটে জেতা আর দীর্ঘমেয়াদী জনপ্রিয়তা দুটো এক নয়”, অমর্ত্য সেনের মন্তব্যের নিশানায় কি বিজেপি?
এই নয়া নীতির বিরোধিতা করে ক্ষোভ উগরে দিয়েছে বিরোধী কংগ্রেস ও সমাজবাদী পার্টি। কংগ্রেস এই নীতিকে ‘রাজনৈতিক অ্যাজেন্ডা’ বলে উল্লেখ করেছে। এদিকে অখিলেশ যাদবের দল একে ‘গণতন্ত্রের হত্যা’ বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে।
আরও পড়ুনঃ শীর্ষ আদালতে প্রামাণ্য নয় আরটিআই নথি, তবে কি অ্যাক্ট গুরুত্বহীন?
অপরদিকে ওয়াকিবহাল মহলের ধারণা, অসমের পরে এই বিষয়ে উত্তরপ্রদেশের এহেন পদক্ষেপ থেকে ইঙ্গিত মিলছে ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের আগে এই সংক্রান্ত বিল সংসদে আনতে পারে বিজেপি। যোগী সরকারের নয়া জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ আইন যদি পাস হয়ে যায় এবং বিধানসভা নির্বাচনের পর যদি বিজেপি ক্ষমতায় আসে তবে, মোদী সরকারও উত্তরপ্রদেশের পথে হাঁটতে পারে বলে ধারণা রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584