অঙ্গদান ও দেহদান অঙ্গীকার শিবিরের আয়োজন

0
265

নিজস্ব সংবাদদাতা,পশ্চিম মেদিনীপুরঃ

মঙ্গলবার মানব কল‍্যাণের এক অনন‍্য নজির তৈরি হল কাঁথিতে । দুই মেদিনীপুর ও ঝাড়গ্রাম জেলার অন্যতম একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা মেদিনীপুর কুইজ কেন্দ্র সোশ্যাল ওয়েলফেয়ার সোসাইটির উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হল মরনোত্তর চক্ষু সহ অঙ্গদান ও দেহদান অঙ্গীকার শিবির ।

১৩ নভেম্বর মঙ্গলবার এই জনসচেতনতা মূলক শিবিরটি অনুষ্ঠিত হয় কাঁথি সেন্ট্রাল বাস স্ট্যান্ডের কাছে রয়্যাল একাডেমিতে । শুধুমাত্র আধুনিক চিকিৎসা বিজ্ঞানের উন্নতি কল্পেই নয়, জীবিত অবস্থায় মানুষের যে বিভিন্ন অঙ্গ প্রতিস্থাপনের প্রয়োজন হয় সেই লক্ষ্যকে সামনে রেখেই এই শিবির অনুষ্ঠিত হয় । শিবিরে উপস্থিত ছিলেন পূর্ব মেদিনীপুরের ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট সুমন বিশ্বাস, কাঁথির এ.এস.পি ইন্দ্রজিৎ বসু সহ বিভিন্ন গুনিজন ও লেখক ।শিবিরে মোট ৫৩ জন তাদের মৃত্যুর পর চক্ষু সহ দেহদান করার অঙ্গীকার করেন । এর মধ্যে ৩৭ জন চক্ষুদান অঙ্গীকার পত্রে স্বাক্ষর করেন ।

অঙ্গদানের অঙ্গীকার সাধারণ মানুষের। নিজস্ব চিত্র

পূর্ব মেদিনীপুরের ইতিহাসে এই প্রথম বার এত সংখ্যক মানুষ এক সাথে একছাদের তলায় মরনোত্তর চক্ষুদান সহ অঙ্গদান ও দেহদানের অঙ্গীকার করেন । চিকিৎসার প্রয়োজনে মৃত্যুর পর ওই মৃত ব্যক্তির দান করা দেহ থেকে দেহযন্ত্র বা চক্ষু তুলে নিয়ে কোনো জীবিত অথচ রুগ্ন ব্যক্তির শরীরে প্রতিস্থান এ রাজ্যে অজানা নয় । কিন্তু মানুষের মধ্যে সচেতনতার অভাবে তা আজও প্রচারের অন্তরালে । তাই সমস্ত স্তরের মানুষের মধ্যে সচেতনতা জাগাতে এধরনের শিবিরের আয়োজন । শিবিরে ছাত্র -ছাত্রী, শিক্ষক সহ প্রায় দেড় শতাধিক মানুষ অংশ নেয় । শুধু তাই নয় কাঁথির পশ্চিম কুশবনি গ্রামের দম্পতি রমেশ কর মহাপাত্র ও সঞ্চিতা কর মহাপাত্র তাঁদের দ্বিতীয় বিবাহ বার্ষিকী উৎযাপন করলেন এই শিবিরে মরনোত্তর চক্ষু সহ অঙ্গদান ও দেহদান অঙ্গীকার পত্রে সাক্ষর করে । দুজনেই বেশ উদ্বুদ্ধ এবং সমগ্র জেলাবাসীর কাছে এক জীবন্ত অনুপ্রেরণা তৈরি করেন । সঞ্চিতাদেবী বলেন গত কদিন স্বামী রমেশ এধরনের একটি শিবিরের কথা জানালে তিনি সঙ্গে সঙ্গে রাজি হয়ে যান । আর তখনই তারা ঠিক করেন তাদের দ্বিতীয় বিবাহ বার্ষিকী মরনোত্তর চক্ষু সহ অঙ্গদান ও দেহদানে অঙ্গীকার করে উৎযাপিত করবেন ।

বিবাহ বার্ষিকীতে দেহদানের অঙ্গীকার।নিজস্ব চিত্র

তিনি আরও বলেন, আনন্দ লাগছে এটা ভেবে যে মৃত্যুর পরও আমার চোখ দিয়ে অন্য কেউ দেখতে পাবে । আজকের দিনটা স্মরনীয় হয়ে থাকবে । সংস্থার সম্পাদক ড. মৌসম মজুমদার বলেন -আমাদের জেলায় এধরনের শিবিরের একান্ত প্রয়োজন রয়েছে। কারণ কলকাতা ও শহরকেন্দ্রিক এলাকার মানুষ এ সম্পর্কে অনেক সচেতন হলেও জেলা স্তরের মানুষ এখনও তেমনভাবে সচেতন নয়।

আরও পড়ুনঃ আর্ন্তজাতিক মানবাধিকার দিবস উপলক্ষ্যে কর্মী বৈঠক

নিউজফ্রন্ট এর ফেসবুক পেজে লাইক দিতে এখানে ক্লিক করুন
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here