সিমা পুরকাইত,কলকাতাঃ
ফের শহরে অঙ্গ প্রতিস্থাপন।কিডনি,চোখ,ত্বক দিয়ে নজির তিলোত্তমার বুকে।বারুইপুরের বলরামপুরের বাসিন্দা ঊনপঞ্চাশ বছরের রঞ্জন রায়ের মৃত্যুর পর অঙ্গদানের সিদ্ধান্ত নেন পরিবার পরিজন। শনিবার খিদিরপুরে বাস দুর্ঘটনার পর ভর্তি করা হয় রঞ্জনবাবুকে সিএমআর আই।
সোমবার ডাক্তার বাবুরা জানান ব্রেন ডেথ হয়েছে।পরে পরিবারের লোকজন সিদ্ধান্ত নেন অঙ্গদানের মধ্য দিয়ে রঞ্জনবাবুকে বাঁচিয়ে রাখবেন।সোমবার সিদ্ধান্তের পর চিকিৎসকেরা মঙ্গলবার রাতে অঙ্গ নেন রঞ্জন বাবুর শরীর থেকে। দুটি কিডনি নিয়ে গ্রিন করিডরের মধ্যে দিয়ে এসএসকেএমে সাত মিনিটে পৌঁছান।
পরে স্কিন ও দুটি চোখ নেওয়া হয়।কনভয়ের মধ্যে দিয়ে কলকাতা পুলিশ গ্রিন করিডরে করে পৌঁছানো কাজ সম্পূর্ন করে।
এর পূর্বে চলতি মাসের ২৪ তারিখ অন্ধ্রপ্রদেশের বাসিন্দা সূর্যনারায়ণ রামুর হৃদয় প্রতিস্থাপন করা হয় কলকাতার বাসিন্দা সমীরণ দত্তর শরীরে। তার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই ফের প্রতিস্থাপন করা হয় হৃদয়।২৫ তারিখ পটনার বাসিন্দার হৃদয় প্রতিস্থাপন করা হয় হাওড়ার এক যুবতির দেহে।এছাড়া ২১ মে দিলচাঁদ সিং নামে ঝাড়খণ্ডের এক বাসিন্দার শরীরে প্রতিস্থাপন করা হয়েছিল হৃদয়।
এছাড়া ১৮ অগাস্ট শিলিগুড়ির মেয়ে মল্লিকা মজুমদারের কিডনি প্রতিস্থাপিত করা হয়েছিল দুইজনকে। তবে তাঁদের মধ্যে মৌমিত চক্রবর্তী নামে এক গ্রহীতা পরে মারা যান।
আরও পড়ুনঃ পোদ্দার কোর্টের ইসলাম হাউসে আগুন
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584