শরীয়তুল্লাহ সোহন, ওয়েব ডেস্কঃ
ফিলিপাইনে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় রাইয়ের আঘাতে মৃত মানুষের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ২০৮। আজ সোমবার দেশটির জাতীয় পুলিশের বরাত দিয়ে বিভিন্ন বার্তা সংস্থার প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
ফিলিপাইনের জাতীয় পুলিশের তথ্য অনুসারে, ঘূর্ণিঝড়ে অন্তত ২৩৯ জন আহত হয়েছেন। নিখোঁজ ৫২ জন।ঘূর্ণিঝড়ের কারণে তিন লাখের বেশি মানুষ ঘরবাড়ি ছেড়ে নিরাপদ আশ্রয়ে সরে যেতে বাধ্য হন। গত বৃহস্পতিবার ফিলিপাইনের দক্ষিণ ও মধ্যাঞ্চলে ঘূর্ণিঝড় ‘রাই’ আঘাত হানে। ঘূর্ণিঝড়টির গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ১৯৫ কিলোমিটার।
সাম্প্রতিক বছরগুলোয় ফিলিপাইনে আঘাত হানা ঘূর্ণিঝড়গুলোর মধ্যে রাইকে সবচেয়ে প্রাণঘাতী হিসেবে অভিহিত করা হচ্ছে। ফিলিপাইন রেডক্রস বলেছে, ঘূর্ণিঝড়ের তাণ্ডবে উপকূলীয় এলাকা একেবারে লন্ডভন্ড হয়ে গেছে।
ফিলিপাইন রেডক্রসের চেয়ারম্যান রিচার্ড গর্ডন বলেন, বাড়িঘর, হাসপাতাল, স্কুল ও কমিউনিটি বাড়িগুলো ঘূর্ণিঝড়ের আঘাতে টুকরো টুকরো হয়ে গেছে। ঘূর্ণিঝড়ে অসংখ্য বাড়ির চালা উড়ে গেছে। গাছ উপড়ে পড়েছে, কংক্রিটের তৈরি বিদ্যুতের খুঁটি ভেঙে গেছে। কাঠের ঘর ভেঙে চুরমার হয়ে গেছে। অনেক গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।
ঘূর্ণিঝড় রাইয়ের কারণে অনেক জায়গায় যোগাযোগ ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। বিদ্যুৎসংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে।অনুসন্ধান ও উদ্ধার অভিযানে সহায়তার জন্য সেনাবাহিনী, পুলিশ, কোস্টগার্ড ও ফায়ার সার্ভিসের হাজারো কর্মী মোতায়েন করা হয়েছে। ঘূর্ণিঝড়ে বিপর্যস্ত এলাকায় খাদ্য, পানি, চিকিৎসাসামগ্রীসহ কোস্টগার্ডের পাশাপাশি নৌবাহিনীর জাহাজ পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুনঃ হাইতিতে ভয়াবহ ফুয়েল ট্যাঙ্কার বিস্ফোরণে প্রাণ গেল ৫০-এর অধিক জনের
এএফপির খবরে বলা হয়, রাইয়ের ভয়াবহতা ২০১৩ সালে দেশটিতে আঘাত হানা শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় হাইয়ানের কথা মনে করিয়ে দিচ্ছে। হাইয়ানকে ফিলিপাইনে এ যাবৎকালে আঘাত হানা সবচেয়ে শক্তিশালী ও প্রাণঘাতী ঘূর্ণিঝড় বলা হয়। এ ঘূর্ণিঝড়ে ৭ হাজার ৩০০-এর বেশি মানুষ নিহত বা নিখোঁজ হন। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বিশ্বে সবচেয়ে ঝুঁকিতে থাকা দেশগুলোর একটি ফিলিপাইন। দেশটিতে প্রতিবছর গড়ে ২০টি ঝড় আঘাত হানে।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584