পিয়া গুপ্তা,উত্তর দিনাজপুরঃ
অবশেষে মনের হাজারো দুঃখ ও প্রশাসনের ওপর একরাশ ক্ষোভ নিয়ে এলাকার ছাত্র-ছাত্রীদের ভবিষ্যতের দিকে তাকিয়ে আজ উত্তর দিনাজপুর জেলার ইসলামপুরের দাড়িভিট এলাকার মানুষ ইসলামপুরের মহকুমা শাসকের কাছে দাড়িভিট স্কুলের চাবি তুলে দিল।

ফলে গত দুই মাস ধরে চলা দাড়িভিট স্কুলের অচলাবস্থার আজ কিছুটা হলেও অবসান হলো।তবে গ্রামবাসীদের বক্তব্য তাঁরা তাদের দাবি থেকে এক পা’ও সরে যাচ্ছেন না,শুধুমাত্র ছাত্র-ছাত্রীদের ভবিষ্যতের কথা মাথায় রেখে স্কুল বন্ধ রাখার দাবি থেকে সরে এসেছেন।গ্রামবাসীরা জানান মৃত দুই গ্রামবাসীদের দেহ কিন্তু এখনই সৎকার করা হবে না যতক্ষণ পর্যন্ত না সিবিআই তদন্ত করা হবে।পাশাপাশি এই ঘটনার জন্য যারা দায়ী তাদের যথোপযুক্ত শাস্তির ব্যবস্থা সহ গ্রামের মানুষদের পুলিশি অত্যাচার বন্ধের বিভিন্ন দাবি এদিন একটি সনদ আকারে তুলে দেওয়া হয় মহকুমা শাসকের কাছে।এদিন সকালে মহকুমা শাসক সহ অন্যান্য প্রশাসনিক কর্তারা স্কুল গেটে নির্ধারিত সময়ে হাজির হলে গ্রামবাসীদের ধর্ণার মুখে পড়ে।

বেলা সাড়ে এগারোটা পর্যন্ত স্কুল খুলতে পারেন নি তাঁরা। এরপর গ্রামবাসীদের সাথে আলোচনার মাধ্যমে স্কুলের তালা খোলেন মহকুমা শাসক।সমস্যার সমাধান করতে ঘটনাস্থলে পৌঁছান স্থানীয় বিধায়কও।এদিন সকালে স্কুল গেটের সামনে কিছু পড়ুয়া হাজির হলেও তাদেরও ফিরিয়ে দেয় গ্রামবাসীরা।এদিন ‘জেলা শাসক ছাড়া স্কুল খুলব না’ এমন প্ল্যাকার্ড হাতে নিয়ে বিক্ষোভকারীদের দেখা যায়।পাশাপাশি,দুই পড়ুয়ার মৃত্যুর সিবিআই তদন্ত,স্কুলের প্রধান ও সহকারি প্রধান শিক্ষকের গ্রেফতারের দাবী জানানো প্ল্যাকার্ডও আন্দোলনকারীদের হাতে দেখা যায়।এরপরেই আলোচনা শুরু হয় প্রশাসন ও গ্রামবাসীদের মধ্যে।

মহকুমা শাসক বলেন, “স্কুল খোলা হয়েছে। যতদ্রুত সম্ভব স্কুলের পঠন-পাঠন স্বাভাবিক করার চেষ্টা করা হচ্ছে।গ্রামবাসীদের দাবী উচ্চ পর্যায়ে জানানো হয়েছে।বিষয়টি আদালতে রয়েছে।আমাদের আশ্বাস দেওয়ার কোনও বিষয় নেই এখানে।”
আরও পড়ুনঃ বেলদা থানা এলাকায় বানর আতঙ্ক
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584