১০৬ দিন পর জামিনে মুক্ত চিদাম্বরম

0
49

নিউজফ্রন্ট, ওয়েবডেস্কঃ

বুধবার সুপ্রিম কোর্ট আইএনএক্স মিডিয়া কেলেঙ্কারির এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট দ্বারা দায়ের করা মামলায় কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ও সিনিয়র অ্যাডভোকেট পি চিদাম্বরমের জামিন মঞ্জুর করে।

p chidambaram gets bail from supreme court | newsfront.co
চিত্র সৌজন্যঃ এনডিটিভি

১০৬ দিন কারাগারে থাকার পর জামিনে মুক্ত হলেন প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী। আদালত পর্যবেক্ষণ করে জানিয়েছে চিদাম্বরম জামিন মঞ্জুর করার জন্য ট্রিপল টেস্ট পাশ করেছেন। পাশাপাশি আদালত দিল্লি হাই কোর্টের সমালোচনা করেছে অভিযোগের যোগ্যতা দিয়ে মামলাটিকে পর্যবেক্ষণ না করার জন্য। এ দিন বিচারপতি এএসবোপান্না চিদাম্বরম মামলার রায় দেন।

তবে আদালত দিল্লি হাইকোর্টের সাথে একটি বিষয়ে সহমত পোষণ করেছিল যে অপরাধের গুরুত্ব জামিনকে অস্বীকার করার কারণ হতে পারে। আদালত পর্যবেক্ষণ করে জানায়, অর্থনৈতিক অপরাধও গুরুতর অপরাধের ধারায় আসে। তবে তারপরেও জামিনই বিধি এবং জেল তার ব্যতিক্রম। বিচারের জন্য আসামির উপস্থিতি নিশ্চিত করা গেলে সাধারণভাবে জামিন মঞ্জুর করতে হবে—হাইকোর্ট জানায়।

আরও পড়ুনঃ বুনিয়াদপুরে শিক্ষা সেলের মিটিং এ ওম প্রকাশ মিশ্র

২৮ নভেম্বর, প্রাক্তন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী পি চিদাম্বরমের দিল্লী হাইকোর্টের ১৫ নভেম্বরের রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে দায়ের করা আবেদনের রায় সংরক্ষণ করেছিল আদালত, যা আইএনএক্স মিডিয়া মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটে মামলায় জামিন প্রত্যাখ্যান করেছিল।

প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ও সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতার পক্ষে, ইডির পক্ষে, সিনিয়র অ্যাডভোকেট কপিল সিবাল এবং ডাঃ এএম সিংভির যুক্তি-তর্ক শুনলেন তিন বিচারপতি– আর বনুমথি, বিচারপতি এএস বোপান্না ও হৃষীকেশ রায়। জামিন দুই লক্ষ টাকা এবং জামিন বন্ড সাপেক্ষে।

আরও পড়ুনঃ মুজাফফরনগরে মিড-ডে মিলের খাবারে মরা ইঁদুর

কোর্ট জানায়, চিদাম্বরম আদালতের অনুমতি ব্যতীত বিদেশ ভ্রমণ করতে পারবেন না এবং মামলার বিষয়ে প্রেস বিবৃতি দিতে পারবেন না। আদালত তাকে মামলার সাক্ষীদের সাথে যোগাযোগ করতেও নিষেধ করেছেন। যদিও দিল্লি হাইকোর্টের বিচারপতি সুরেশ কুমার কৈত দেখতে পেয়েছিলেন যে জামিন-পলাতক হওয়ার কোনও সুযোগ না দেওয়ার জন্য চিদাম্বরম ট্রিপল টেস্ট সন্তুষ্ট করেছেন।

এখন বিষয় হল, অপরাধের গুরুতর বিষয়টি উল্লেখ করে সাক্ষ্য-জামিনকে প্রভাবিত করে। চিদাম্বরম এই আদেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে বলেছিলেন যে জামিনকে অস্বীকার করার জন্য অপরাধের প্রাবল্যই একমাত্র ভিত্তি হতে পারে না। সিবাল ও সিংহভী উভয়েই জানিয়েছিলেন যে বেশ কয়েক দিন হেফাজত থাকা সত্ত্বেও ইডি চিদাম্বরমকে অর্থ পাচারের লেনদেনের সাথে যুক্ত করার কোনও প্রমাণ খুঁজে বের করতে সক্ষম হয়নি। পাশাপাশি এটাও যুক্তিযুক্ত ছিল যে শাস্তিদানের সিদ্ধান্তটি অপরাধের প্রাবল্য নির্ধারণের সূচনা ছিল মাত্র।

আরও পড়ুনঃ অধিকারের দাবিতে কোচ-রাজবংশীদের বিক্ষোভ

প্রবীণ আইনজীবীদের পেশ করা বয়ানে– যেহেতু মানি লন্ডারিং আইনের অধীনে অপরাধগুলি ৭ বছরের কম মেয়াদে শাস্তিযোগ্য তাই এগুলি ‘গুরুতর অপরাধ’ হিসাবে অভিহিত করা যায় না। তারা আরও জানিয়েছিল যে হাইকোর্ট না ভেবে চিন্তেই রায়টিতে ইডির অভিযোগগুলি পুনর্বিবেচনা করেছে।

এই আবেদনের বিরোধিতা করে সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা পেশ করেছিলেন যে অর্থনৈতিক অপরাধগুলি দেশের অর্থনৈতিক ব্যবস্থাকে প্রভাবিত করার কারণে একটি শ্রেণি হিসাবে পৃথক করা উচিত। মানি লন্ডারিং এর অপরাধের বিরুদ্ধে লড়াই করার আন্তর্জাতিক দায়বদ্ধতা রয়েছে। এ জাতীয় অপরাধে জামিন দেওয়া সমাজে একটি ভুল সংকেত পাঠাবে।

২০০৭ সালে ৩০৫ কোটি টাকা বিদেশি তহবিল প্রাপ্তির জন্য আইএনএক্স মিডিয়া গ্রুপকে দেওয়া বিদেশি বিনিয়োগ প্রচার বোর্ডের (এফআইপিবি) দুর্নীতির মামলায় সিবিআই চিদাম্বরমকে ২১ অগস্ট গ্রেফতার করেছিল। চিদাম্বরমের সেই সময় অর্থমন্ত্রী ছিলেন। আইএনএক্স চুক্তির সাথে সম্পর্কিত সিবিআই এবং এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টর উভয়ই তার বিরুদ্ধে পৃথক মামলা রেজিস্টার্ড করেছিল।

নিউজফ্রন্ট এর ফেসবুক পেজে লাইক দিতে এখানে ক্লিক করুন
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here