স্পোর্টস ডেস্কঃ
ইতিহাস! বিশ্বকাপ—সেটা ৫০ ওভার কিংবা ২০ ওভারের সংস্করণে, ভারতকে কখনো হারাতে পারেনি পাকিস্তান। এর আগে ১২বারের মুখোমুখিতে প্রতিবারই ফিরতে হয়েছে হার নিয়ে। আজ সে ইতিহাস পাল্টাতে পারল পাকিস্তান।
দলটির কিংবদন্তি সব অধিনায়কেরা এর আগে বিশ্বকাপে বরাবরই ভারতের কাছে হারের গ্লানি নিয়ে ফিরেছেন। কিন্তু বাবর আজমের পাকিস্তানে বদলে গেল ইতিহাসের সে ধারা। দুবাইয়ে আজ ভারতকে ১০ উইকেটে হারিয়ে এবার টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপে শুভসূচনা করল পাকিস্তান। ওয়ানডে ও টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপ মিলিয়ে ভারতের বিপক্ষে এটাই প্রথম জয় পাকিস্তানের।
আগে ব্যাট করে ৭ উইকেটে ১৫১ রান তুলেছিল ভারত। বিরাট কোহলিদের বোলিং–শক্তি বিচারে লক্ষ্যটা তাড়া করা পাকিস্তানের জন্য মোটেও সহজ ছিল না। কিন্তু দুই ওপেনার বাবর আজম ও মোহাম্মদ রিজওয়ানের মসৃণ ব্যাটিংয়ে পাকিস্তান যেন কোনোকিছু টের পাওয়ার আগেই জয় তুলে নিল!
ক্যারিয়ারের প্রথম টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপ খেলতে নেমে প্রথম ম্যাচেই ভারতকে হারিয়ে বাবর বুঝিয়ে দিলেন এই বিশ্বকাপে পাকিস্তানও ফেবারিট। অন্যদিকে যশপ্রীত বুমরা, ভুবনেশ্বর কুমার, মোহাম্মদ শামিদের মতো ভুবন কাঁপানো বোলারদের নিয়ে পাকিস্তানের কোনো উইকেট ফেলতে পারেনি বিরাট বাহিনী। বিরাট কোহলির আজ রাতে ঘুম হবে তো!
শাহিন আফ্রিদির কিন্তু দারুণ ঘুম হবে। ভারতের গভীর ব্যাটিং–অর্ডার বিচারে সংগ্রহটা খুব ভালো বলা যাবে না। তাতে বাঁহাতি এ পেসারের অবদান স্রেফ দুর্দান্ত। ভারতের ইনিংসে প্রথম তিন ওভারের মধ্যে বিপজ্জনক দুই ওপেনার রোহিত শর্মা ও লোকেশ রাহুলকে তুলে নেন তিনি। এরপর ফিফটি তুলে নিয়ে শেষ ওভারে যতটা বেশি সম্ভব রান তুলে নেওয়ার অপেক্ষায় থাকা কোহলিকেও তুলে নেন ১৮.৪ ওভারে।
শাহিন আফ্রিদি যদি পাকিস্তানের স্মরণীয় এ জয়ের প্রথম ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন, বাবর ও রিজওয়ান তাহলে বাকি কাজটা সেরেছেন। ৫২ বলে ৬৮ রানে অপরাজিত ছিলেন বাবর। ওদিকে রিজওয়ান ৫৫ বলে ৭৯ রানে অপরাজিত থেকে দারুণ সঙ্গ দেন অধিনায়ককে।
রিপোর্ট: শরীয়তুল্লাহ সোহন
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584