নিজস্ব সংবাদদাতা, ওয়েব ডেস্কঃ
যে সমস্ত নারী ধর্ষণের শিকার হয়েছেন তাঁদের তথাকথিত ‘কুমারীত্ব পরীক্ষা’ নিষিদ্ধ করেছে পাকিস্তানের আদালত। এমন সিদ্ধান্তকে স্বাগতও জানিয়েছেন মানবাধিকারকর্মীরা। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলেছে, টু ফিঙ্গার টেস্টের কোনো বৈজ্ঞানিক ভিত্তি নেই। এটি মানবাধিকারের লঙ্ঘন।
বিবিসির খবর অনুযায়ী, লাহোর হাইকোর্টের বিচারক আয়েশা মালিক বলেছেন, এ ধরনের পরীক্ষা অমানবিক। এই পরীক্ষার কোনো ফরেনসিক মূল্য নেই। অমানবিক এই পরীক্ষার মাধ্যমে ধর্ষণের শিকার যিনি হয়েছেন, তাঁর ওপর সন্দেহ পোষণ করা হয়। অপরাধীর দিক থেকে মনোযোগ সরিয়ে নেওয়া হয়। এই আদেশের ফলে পাঞ্জাব প্রদেশে ‘টু ফিঙ্গার টেস্ট’ বন্ধ হবে।
লাহোর হাইকোর্টে আবেদনকারীদের একজন সাহার বান্দিয়াল বলেন, নারীদের অবমূল্যায়নের জন্য এ ধরনের অবৈজ্ঞানিক পরীক্ষা করা হত।
আরও পড়ুনঃ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বিশেষজ্ঞ দলকে প্রবেশ করতে দিচ্ছে না চিন
মানবাধিকারকর্মীরা পাঞ্জাব প্রদেশে এই পরীক্ষা নিয়ে দুটি আবেদন করেন। এরপরে আদালত এই আদেশ দেন। মানবাধিকারকর্মীরা দীর্ঘদিন ধরেই ‘কুমারীত্ব পরীক্ষা’ বাতিলের দাবি জানাচ্ছিলেন। ধর্ষণের ঘটনায় স্বাস্থ্য পরীক্ষার অংশ হিসেবে এই ‘টু ফিঙ্গার টেস্ট’ করা হয়। মানবাধিকারকর্মীরা বলছেন, এ ধরনের পরীক্ষার বৈজ্ঞানিক কোনো ভিত্তি নেই।
আরও পড়ুনঃ সরকারের সমালোচনা করায় ভিয়েতনামের তিন সাংবাদিককে কারাদণ্ড
পাঞ্জাবের মতো পাকিস্তানের অন্য প্রদেশেও ‘কুমারীত্ব পরীক্ষা’ বন্ধের পদক্ষেপ নেওয়া হবে। লাহোরে আবেদনকারীদের প্রতিনিধিত্বকারী আইনজীবী সমির খোসা বলেন, যৌন সহিংসতার ঘটনায় ‘কুমারীত্ব পরীক্ষার’ কোনো ফরেনসিক মূল্য নেই। তিনি আশা করেন, লাহোর হাইকোর্টের এই আদেশের ধারাবাহিকতায় যথাযথ কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা নেবে এবং ‘কুমারীত্ব পরীক্ষা’ একেবারে বন্ধ করে দেবে।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584