নিজস্ব সংবাদদাতা,মালদহঃ
পরিবারের মান রক্ষা করতে নাবালিকা মেয়েকে খুন করে নদীর জলে মৃতদেহ ভাসালো এক দম্পতি। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছে মালদার ভুতনিয় থানা দক্ষিণ চন্ডিপুরের মহেন্দ্রটোলা গ্রামে। ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকা জুড়ে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত কিশোরীর নাম প্রতিমা মন্ডল (১৬)। পশ্চিম নারায়নপুর হাই স্কুলের নবম শ্রেণীর ছাত্রী। অভিযুক্ত বাবা ধীরেন ও মা সুমতি মন্ডল।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়,গত শুক্রবার নিজের মেয়েকে খুন করে মৃতদেহ লোপাট করতে ধীরেন মন্ডল ও তার স্ত্রী সুমতি মন্ডলকে একটি চটের বস্তায় দেহ ভরে সাইকেল করে নিয়ে গিয়ে গঙ্গার ভাসিয়ে দেয়।গোপন সূত্রে পায় ভূতনি থানার পুলিশ বিষয়টি জানতে পারে।খবর পেয়ে পুলিশ সাথে সাথে মহেন্দ্রটোলায় ছুটে যায়।
তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে ধীরেন ও তার স্ত্রী সুমতি নিজেদের মেয়ে প্রতিমাকে নিষ্ঠুরভাবে হত্যা করে গঙ্গায় ভাসিয়ে দিয়েছে চটের বস্তা ভারী পাথর দিয়ে।
ওই দম্পতির লক্ষ্য ছিল তাদের অপকীর্তির কথা যেন কেউ জানতে না পারে। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে, ওই কিশোরীর সাথে পাশের গ্রামের এক যুবকের মেয়ের সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল।ধীরেন ও সুমতি মেয়ের এই সম্পর্ক মানতে পারেনি।বাধা দেওয়ার পরেও মেয়ে কথা না শোনায় চরম সিদ্ধান্ত নেয় ওই দম্পতি।
মেয়েকে খুন করে গঙ্গায় বস্তাবন্দী দেহ ভাসিয়ে দেয়। শনিবার সকাল মালদা জেলা থেকে ডুবুরি দ্বারা নৌকা ও বোর্ডের সাহায্যে ভুতনি থানার পুলিশ মহেন্দ্রটোলা গ্রাম সংলগ্ন গঙ্গানদীতে মৃত প্রতিমা মন্ডল দেহের খোঁজে তল্লাশি শুরু করে।দেহের এখনো সন্ধান পাওয়া যায়নি।
এই বিষয়ে ভুতনী থানার ওসি অভিষেক তালুকদার জানায় নিজের মেয়কে খুন করে মৃতদেহ লোপাট কারা সময় আমরা গোপন সূত্রে খবর পাই।মেয়েকে খুন করে ধীরেন মন্ডল তার স্ত্রী সুমতি মন্ডল নিজেদের মেয়েকে খুনে মৃতদেহ গঙ্গানদীতে ফেলে দেয়।শনিবার সকাল থেকে দেহ খোঁজার জন্য ডুবুরি নামানো হচ্ছে নদীতে।
আরও পড়ুনঃ প্রৌঢ়ের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার
ঘটনায় ধৃত দুই জনকে শনিবার পুলিশ মালদহ জেলা আদালতে পেশ করে।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584