নিজস্ব সংবাদদাতা, ওয়েব ডেস্কঃ
১৬ বছর বয়সী কন্যার চিকিৎসার খরচ জোগাড় করতে ১২ বছর বয়সী কনিষ্ঠ কন্যাকে ১০ হাজার টাকায় বিক্রি করে দিলেন বাবা-মা। বুধবার এমন মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে অন্ধ্রপ্রদেশের নেল্লর জেলার কোট্টুর গ্রামে।
বুধবার এই ঘটনা ঘটলেও তা প্রকাশ্যে আসে বৃহস্পতিবার রাতে স্থানীয় বাসিন্দারা আইসিডিএস আধিকারিকদের বিষয়টি জানানোর পর। আইসিডিএস আধিকারিকরা এই নাবালিকাকে সেদিনই উদ্ধার করেন। ৪৬ বছর বয়সী চিন্না সুব্বাইয়ার কাছ থেকে নাবালিকাকে উদ্ধার করেন আইসিডিএস আধিকারিকরা। যদিও চিন্নার দাবি ওই নাবালিকা তাঁর স্ত্রী। পুলিশ আটক করেছে সুব্বাইয়াকে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, উদ্ধার হওয়া নাবালিকার বাবা-মা পেশায় দিনমজুর। পুলিশ জানিয়েছে, চিন্না সুব্বাইয়া আগে থেকেই বিবাহিত ছিলেন কিন্তু এই নাবালিকার প্রতি কুদৃষ্টিও ছিল তাঁর। এই কারণেই স্ত্রী চিন্নাকে ছেড়ে চলে যান। তারপর সে এই নাবালিকাকে বিয়ে করে, কার্যত তাকে অর্থের বিনিময়ে কিনে নিয়ে।
বুধবার রাতে এই লেনদেন সম্পন্ন করে নাবালিকাকে বিয়ে করে সে এবং ডামপুর গ্রামে নিজের এক আত্মীয়ের বাড়িতে নিয়ে যায়। প্রতিবেশীরা সেই সময়ই মেয়েটির চিৎকার ও কান্নার আওয়াজ পেয়ে গোটা বিষয়টি আইসিডিএস আধিকারিকদের নজরে আনেন।
আরও পড়ুনঃ পামেলা কাণ্ডে নোটিস বিজেপি নেতা অনুপম, শঙ্কুদেবকে
এক আইসিডিএস আধিকারিক জানিয়েছেন, প্রতিবেশীরা যখন মেয়েটির কান্নার আওয়াজ শুনে ওই বাড়িতে গিয়ে বিষয়টি জানতে চান চিন্না সুব্বাইয়া সম্পূর্ণ ঘটনা স্বীকার করে এবং এমন ভাবেই ঘটনার বর্ণনা দেয় যেন এটি খুবই স্বাভাবিক ব্যাপার।
আরও পড়ুনঃ কৃষক আন্দোলনের ‘মুখ’ সমাজকর্মী নদীপ কৌরের জামিন
উদ্ধার করার পর ওই নাবালিকাকে জেলা শিশু সুরক্ষা কেন্দ্রে নিয়ে যান আইসিডিএস কর্মীরা, তাঁরা জানিয়েছেন কিশোরীর ওপর এই ঘটনায় যে মানসিক চাপ সৃষ্টি হয়েছে তার কাউন্সেলিং করানো হবে। নাবালিকার পরিবারের সঙ্গে কথা বলে তাঁরা ও জানতে পেরেছেন যে, তাঁদের আরেক কন্যা শ্বাসকষ্ট জনিত রোগে ভুগছেন এবং তার চিকিৎসার ব্যয়ভার বহন করতে তাঁরা অপারগ। এই কারণেই নাকি এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন তাঁরা।
পুলিশ জানিয়েছে এই ঘটনায় একটি কেস নথিভুক্ত করা হয়েছে এবং প্রকৃত সত্য উদঘাটনের জন্য জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে চিন্না সুব্বাইয়াকে।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584