ওয়েব ডেস্ক, নিউজ ফ্রন্টঃ
পেগাস্যাস ইস্যুতে এখন উত্তাল জাতীয় রাজনীতি। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী থেকে শুরু করে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি, বিরোধী নেতা-নেত্রী, কেন্দ্রের বহু উচ্চপদস্থ আধিকারিক ও বহু সাংবাদিক-এর ফোনে এই ইজরায়েলি স্পাইওয়্যারের মাধ্যমে নজরদারি চালানোর চাঞ্চল্যকর অভিযোগ উঠে এসেছে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে।
এই পরিস্থিতিতে পেগাসাস-কাণ্ড নিয়ে তথ্যপ্রযুক্তি সংক্রান্ত স্থায়ী সংসদীয় কমিটির বৈঠকের ডাক দিয়েছেন কংগ্রেস সাংসদ শশী থারুর। আগামী ২৮ জুলাই অর্থাৎ পরের সপ্তাহে বুধবার ২৮ জনের ওই কমিটির বৈঠক ডাকা হয়েছে। নাগরিকদের তথ্য-সুরক্ষা এবং গোপনীয়তা সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে আলোচনা করবে ওই স্থায়ী কমিটি।
আরও পড়ুনঃ করোনায় মৃতের পরিবারকে আর্থিক ক্ষতিপূরণের নির্দেশিকা তৈরিতে আরও ৪ সপ্তাহ সময় চাইল কেন্দ্র
বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম সূত্রে প্রকাশ, কেন্দ্রীয় তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রক, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক-সহ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রকের প্রতিনিধিদের ওই বৈঠকে ডেকে এই বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করবে কমিটি। গত ১৮ই জুলাই টুইট করে কমিটির চেয়ারম্যান শশী থারুর জানান, ভারত সরকার এই অবৈধ নজরজদারির অভিযোগ অস্বীকার করেছে। তাহলে প্রশ্ন ওঠে, অন্য কোনও দেশের সরকার কি ভারতের নাগরিকদের উপর নজরদারি চালাতে চেয়েছিল? কর্তৃপক্ষের কি তাহলে এ ব্যাপারে নিরপেক্ষ তদন্ত আহ্বান করা উচিত নয়?
আরও পড়ুনঃ ২১ জুলাইয়ের মঞ্চ থেকে যা কিছু শোনা গেল না তৃনমূল সুপ্রিমোর বক্তব্যে
জানা গিয়েছে, ইজরায়েলের এনএসও গ্রুপ এই প্রোগ্রামটি তৈরি করেছে। সম্প্রতি এক তদন্ত রিপোর্টে জানা গিয়েছে, প্রায় ৪০ জন সাংবাদিক, কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী, ভোট কৌশলী প্রশান্ত কিশোর, বিশিষ্ট তৃণমূল নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, প্রাক্তন নির্বাচন কমিশনার অশোক লাভাসা ও কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রহ্লাদ প্যাটেলের ফোনেও নজরদারি চালানো হয়েছিল। মঙ্গলবারও পেগাসাস নিয়ে উত্তাল হয় সংসদ ভবন। যদিও এতে সরকার জড়িত নয় বলে দাবি করেছেন কেন্দ্রীয় তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584