মুখ্যমন্ত্রী শিক্ষামন্ত্রীকে ইমেইল পার্ট টাইম শিক্ষকদের

0
306

নিজস্ব সংবাদদাতা, কলকাতাঃ

বহু দিন ধরে বিদ্যালয় গুলির স্থায়ী শিক্ষকের ঘাটতি যারা পূরণ করে চলেছে আজ তারাই অসহায় ভাবে দিন কাটাচ্ছে । যারা নিয়োগ হয় বিদ্যালয়ের পরিচালন কমিটিগুলোর মাধ্যমে সেই বিদ্যালয়ে আংশিক সময়ের শিক্ষক এর কথা বলছি।

para teacher association | newsfront.co
নিজস্ব চিত্র

বিদ্যালয়ের এই আংশিক সময়ের শিক্ষকদের সামান্য বেতন দেওয়া হয় বিদ্যালয় ফান্ড থেকে। মাসিক এক হাজার থেকে তিন হাজার টাকা উনাদের বেতন দেওয়া হয়। অথচ একজন স্থায়ী শিক্ষকের সমান তাদেরকে ক্লাস করতে হয়।এমনকি মিড-ডে-মিল,বিদ্যালয়ের বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, খেলাধুলা সমস্ত কাজেই তাদেরকে পরিচালনা করতে হয়।অথচ তাদের কাজের কোন স্থায়ীত্ব নেই।এই জন্য বারবার তারা সরকারের কাছে আবেদন করেছেন।

mass mail | newsfromt.co
মুখ্যমন্ত্রী শিক্ষামন্ত্রীকে ইমেইল পার্ট টাইম শিক্ষকদের

এই করোনা পরিস্থিতিতে অনেক বিদ্যালয় তাদের সামান্য বেতনটুকু পর্যন্ত দিচ্ছে না। এমনকি কিছু স্কুল তাদের ভ্যাকসিন এর ব্যবস্থাও করে দিচ্ছেন না। এই করোনাকালে তারা বাধ্য হয়ে গৃহশিক্ষকতা বন্ধ রেখেছেন। তাই তাদের পক্ষে সংসার চালানো দুঃসাধ্য হয়ে উঠেছে। এরূপ পরিস্থিতিতে আজ ১৭ই জুন বিদ্যালয়ের আংশিক সময়ের শিক্ষক সংগঠনের পক্ষ থেকে রাজ্যব্যাপী মুখ্যমন্ত্রী , শিক্ষামন্ত্রী , এবং অর্থমন্ত্রীকে গণ ইমেইল করার কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে।

আরও পড়ুনঃ বাড়ল স্পেশাল মেট্রোর সংখ্যা, ছাড় কেবল জরুরী পরিষেবার সাথে যুক্ত ব্যক্তিদের

কারণ এখন লকডাউন চলায় কোথাও গিয়ে আন্দোলন করা সম্ভব হচ্ছে না , তাই ঘরে বসেই সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে বার বার তাদের আবেদন জানিয়ে চলেছে সরকারের কাছে । সংগঠনের রাজ্য কমিটির সহ সভাপতি তথা হাওড়া জেলা কমিটির সভাপতি কার্তিক মারিক জানান, আমরা দীর্ঘদিন ধরে মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী, শিক্ষা মন্ত্রীর নিকট বারবার আবেদন করেছি কিন্তু আজ পর্যন্ত আমাদের কোনো সুরাহা হয়নি। এমনকি বিকাশ ভবন , কালীঘাট , নবান্নতে বহুবার স্মারকলিপির মাধ্যমে তাদের স্থায়ীকরণের আবেদন জানিয়েছেন, কিন্তু কোনো সুরাহা মেলেনি এখনো পর্যন্ত।

এছাড়াও পূর্বে ডিআই’কে সরাসরি ডেপুটেশন দিয়েছেন কিন্তু তার কোনো উত্তরই পাননি তারা। এমতাবস্থায় করোনাকালে আমাদের পক্ষে সংসার চালানো দুঃসাধ্য হয়ে উঠেছে। এই ভাবে চলতে থাকলে হয়তো তাদের বেচেঁ থাকাও দুঃসাধ্য হয়ে পড়বে । অনেকেই বাজারে হকারি করছে , বা টলি চালাতে শুরু করেছে । কিন্তু এই ভাবে আমরা আর কতদিন বাঁচবো জানি না ।

আরও পড়ুনঃ রাজ্যে ২৫০ বেডের ২ টি কোভিড হাসপাতাল তৈরি করবে DRDO, অর্থ বরাদ্দ পিএম কেয়ার্সের টাকায়

তাই এই করোনাকালে আমাদের কাজের স্থায়ীকরণ এবং আপৎকালীন সাহায্য চেয়ে আমরা মুখ্যমন্ত্রী ,শিক্ষামন্ত্রী , অর্থমন্ত্রীকে গণ ইমেইল করার কর্মসূচি গ্রহণ করেছি। যদি আমাদের দাবি না মানা হয় তাহলে পরবর্তীকালে আমরা বৃহত্তর আন্দোলনের পথে যেতে বাধ্য হব।

নিউজফ্রন্ট এর ফেসবুক পেজে লাইক দিতে এখানে ক্লিক করুন
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here