নিজস্ব প্রতিবেদন, নিউজ ফ্রন্টঃ
রাজ্যে দীর্ঘদিন সময় ধরে শিক্ষক নিয়োগ না হওয়ার জন্য রাজ্যের বিভিন্ন বিদ্যালয়গুলিতে শিক্ষকের ঘাটতি দেখা দিয়েছে। এই ঘাটতি পূরণের জন্য বিদ্যালয়ের পরিচালন কমিটিগুলো বিভিন্ন বিদ্যালয়ে আংশিক সময়ের শিক্ষক নিয়োগ করে থাকেন। বিদ্যালয়ের এই আংশিক সময়ের শিক্ষকদের সামান্য বেতন দেওয়া হয় বিদ্যালয় ফান্ড থেকে। মাসিক এক হাজার থেকে তিন হাজার টাকা বেতন দেওয়া হয়। অথচ একজন স্থায়ী শিক্ষকের সমান তাদেরকে ক্লাস করতে হয়।
এমনকি মিড-ডে-মিল, বিদ্যালয়ের বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, খেলাধুলা সমস্ত কাজেই তাদেরকে পরিচালনা করতে হয়। অথচ তাদের কাজের কোন স্থায়ীত্ব নেই। এইজন্য বারবার তারা সরকারের কাছে আবেদন করেছেন। এই করোনা পরিস্থিতিতে অনেক বিদ্যালয় তাদের সামান্য বেতনটুকু পর্যন্ত দিচ্ছে না। এমনকি কিছু স্কুল তাদের ভ্যাকসিনের ব্যবস্থাও করে দিচ্ছেন না।
আরও পড়ুনঃ বাংলা ব্যান্ড ক্যাকটাস ও কুইজ কেন্দ্রের যৌথ উদ্যোগে মায়াচরে ত্রাণ বিতরণ
এই করোনাকালে তারা বাধ্য হয়ে গৃহশিক্ষকতা বন্ধ রেখেছেন। তাই তাদের পক্ষে সংসার চালানো দুঃসাধ্য হয়ে উঠেছে। এরূপ পরিস্থিতিতে আজ ৭ ই জুন বিদ্যালয়ের আংশিক সময়ের শিক্ষক সংগঠনের পক্ষ থেকে রাজ্যব্যাপী বিভিন্ন জেলার ডি এম, ডি আই এবং সভাধিপতিগনকে গণ ইমেইল করার কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে।
আরও পড়ুনঃ ইয়াসে ক্ষতিপূরণের দাবিতে কুলতলি ব্লকে ডেপুটেশন এপিডিআরের
সংগঠনের রাজ্য কমিটির সহ সভাপতি তথা হাওড়া জেলা কমিটির সভাপতি কার্তিক মারিক জানান, আমরা দীর্ঘদিন ধরে মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী, শিক্ষা মন্ত্রীর নিকট বারবার আবেদন করেছি কিন্তু আজ পর্যন্ত আমাদের কোনো সুরাহা হয়নি।
আরও পড়ুনঃ ভগবানগোলায় আইএনটিটিইউসি’র উদ্যোগে স্বেচ্ছায় রক্তদান শিবির কর্মসূচি
এছাড়াও পূর্বে ডিআই’কে সরাসরি ডেপুটেশন দিয়েছেন কিন্তু তার কোনো উত্তরই পাননি তারা। এমতাবস্থায় করোনাকালে আমাদের পক্ষে সংসার চালানো দুঃসাধ্য হয়ে উঠেছে। তাই এই করোনাকালে আমাদের কাজের স্থায়ীকরণ এবং আপৎকালীন সাহায্য চেয়ে আমরা সকল জেলার ডিএম, ডিআই এবং সভাধিপতিকে গণ ইমেইল করার কর্মসূচি গ্রহণ করেছি। যদি আমাদের দাবি না মানা হয় তাহলে পরবর্তীকালে আমরা বৃহত্তর আন্দোলনের পথে যেতে বাধ্য হব।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584