শুভম বন্দ্যোপাধ্যায়, কলকাতাঃ
বেশ কিছুদিন চুপচাপ থাকার পর ফের টুইট যুদ্ধে সক্রিয় হলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। পালটা জবাব দিলেন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ও। রাজ্যপাল পড়ুয়াদের স্বার্থের কথা বললেও সত্যিই রাজ্যপাল পড়ুয়াদের স্বার্থের কথা ভাবছেন না কি ছাত্র সমাজকে ঢাল করে সহানুভূতি আদায়ের চেষ্টা করছেন, সেই প্রশ্নই তুলেছেন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়।
সোমবার সকালে রাজ্যপাল প্রথমে টুইট করেন, ‘সবার আগে পড়ুয়াদের স্বার্থ। আপনাদের উদ্বেগের কথা মাথায় রেখেই বলছি, ইউজিসি চেয়ারম্যান জানিয়েছেন, সোমবার সুপ্রিম কোর্ট, ৩০ জুলাই দিল্লি হাইকোর্ট ও ৩১ জুলাই বম্বে হাইকোর্টে মামলা রয়েছে। উপাচার্যদের ঢাল হিসেবে না দাঁড়িয়ে এদিকে নজর দিন। উপাচার্যদের কাজকর্মের ওপর নজর রাখা হচ্ছে।’
Students are our future and most important priority.
Next hearing in Hon’ble Supreme Court-on July 31
Our Judiciary is acknowledged best in world and outcome will be in public interest.
Time for VCs @MamataOfficial @itspcofficial to engage in helping students in hour of need.
— Governor West Bengal Jagdeep Dhankhar (@jdhankhar1) July 27, 2020
এর জবাবে শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের পাল্টা টুইট, ধন্যবাদ মহামান্য রাজ্যপাল মহোদয়। পুরনো কাসুন্দি কেন ঘাঁটছেন? ইউজিসি তো নিজেই ৬ তারিখের বিবৃতি বাতিল করতে পারত। কোর্টের অপেক্ষা কেন? রাজ্যের সার্বিক কল্যাণে মন দিন। বাংলার ছাত্র সমাজের ভবিষ্যতকে ঢাল করবেন না। মুখ্যমন্ত্রীর আহ্বানে ইউজিসি সাড়া দিক।
ধন্যবাদ মহামান্য রাজ্যপাল মহোদয়। আমার মনে হয় পুরনো কাসুন্দি ঘাটছেন কেন ?? UGC তো নিজেই ৬ তারিখের বিবৃতি বাতিল করতে পারত। কোর্টের অপেক্ষা কেন ?? রাজ্যের সার্বিক কল্যাণে মন দিন। বাংলার ছাত্র সমাজের ভবিষ্যতকে ঢাল করবেন না। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর আহবানে UGC সাড়া দিক।
— Partha Chatterjee (@itspcofficial) July 26, 2020
প্রসঙ্গত, করোনা সংক্রমণের এই ভয়াবহ আবহে স্নাতক ও স্নাতকোত্তরের পরীক্ষা হবে কি না, তা নিয়ে বিস্তর জটিলতা দেখা দিয়েছিল। পরীক্ষা বাতিলের আবেদন করে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি পাঠিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। সমস্যা মোকাবিলায় রাজ্যপাল নিজেই উপাচার্যদের ই-মেলে নোটিশ পাঠিয়ে ভার্চুয়াল কনফারেন্সের যোগ দিতে বলেন।
আরও পড়ুনঃ অনলাইন ক্লাসে অপারগ, টেলিফোনেই শিক্ষাদানের সিদ্ধান্ত রাজ্যের
কিন্তু রাজ্য শিক্ষা দফতরের মাধ্যমে আমন্ত্রণ না আসায় উপাচার্যরা সেই বৈঠকে যোগ দিতে চাননি। সেই নিয়েই শিক্ষাকে রাজনীতিকরণের অভিযোগ তোলেন রাজ্যপাল। পাল্টা মুখ্যমন্ত্রীও নবান্নে বলেন, উনি এবার যথেষ্ট বাড়াবাড়ি করছেন। এমন ভাব করছেন, যেন আমরা ওর চাকরবাকর। আমরা কিন্তু সাংবিধানিক রীতি মেনেই চলছি।’
আরও পড়ুনঃ ‘মিসাইল ম্যান’কে স্মরণ চুয়াডাঙ্গা হাইস্কুলের
২১ জুলাই ভার্চুয়াল সভা থেকে মমতা বলেন, ‘দিল্লির এক তাঁবেদার বলছিল উপাচার্যদের শো-কজ করবে। আমি বলছি গায়ে হাত দিয়ে দেখান। দেখিয়ে দেব ছাত্র বিপ্লব কাকে বলে!’ এই চূড়ান্ত সংঘাতের আবহ থেকে কিছুদিন চুপ থাকার ফের স্নাতক-স্নাতকোত্তরের পরীক্ষা প্রসঙ্গ নিয়েই রাজ্যকে বিঁধে পুরনো ভূমিকায় সরব হলেন রাজ্যপাল।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584