নিজস্ব সংবাদদাতা, কলকাতাঃ
হাজারও সংঘাতের মাঝে কেন্দ্রের সঙ্গে জাতীয় শিক্ষানীতি নিয়ে ভার্চুয়াল আলোচনা সভায় যোগ দেবে পশ্চিমবঙ্গ। সোমবার ওই বৈঠকে রাজ্যটির প্রতিনিধিত্ব করবেন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও শিক্ষাসচিব মণীশ জৈন। শনিবার বিকাশ ভবনে শিক্ষক দিবসের অনুষ্ঠানে একথা জানিয়েছেন স্বয়ং শিক্ষামন্ত্রী।
পার্থ চট্টোপাধ্যায় জানালেন, “জাতীয় শিক্ষানীতি নিয়ে কেন্দ্রের ওই ভার্চুয়াল বৈঠকে আমি নিজে থাকব, থাকবেন শিক্ষাসচিব মণীশ জৈনও।” ৭ তারিখের ভিডিও কনফারেন্সে থাকবেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
আরও পড়ুনঃ দিকভ্রষ্ট চিনের নাগরিকদের খাবার-ওষুধ দিয়ে মানবিকতার নজির গড়ল ভারতীয় সেনা
সম্প্রতি নতুন শিক্ষানীতি ঘোষণা করেছে কেন্দ্রের মোদী সরকার। তাতে ৩৪ বছরের মরচে ঝেড়ে ফেলেছে কেন্দ্র। বিষয় নির্বাচনের সুযোগ দেওয়া হয়েছে পড়ুয়াদের। এই নিয়ে বিরোধিতায় সরব হয়েছে পশ্চিমবঙ্গ-সহ বেশ কয়েকটি রাজ্য। তাদের দাবি, রাজ্যগুলির সঙ্গে আলোচনা না করেই একতরফাভাবে শিক্ষানীতি ঘোষণা করেছে সরকার। সঙ্গে তাঁদের দাবি, এই ব্যবস্থায় শিক্ষার গেরুয়াকরণের আয়োজন হয়েছে।
ঘোষিত নতুন শিক্ষানীতি বাস্তবায়নে এখনো বিজেপি বিরোধী প্রায় কোনও রাজ্যেরই সমর্থন পায়নি মোদী সরকার। তামিলনাড়ু থেকে তেলেঙ্গানা দেশের বিভিন্ন প্রান্তে এর বিরোধিতায় স্বর উঠেছে। ফলে রাজ্যগুলির সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানায় কেন্দ্রীয় সরকার। সেব্যাপারেই আলোচনা করতে প্রথম বৈঠক আগামী সোমবার।
আরও পড়ুনঃ মৃত্যু ঠেকাতে ত্রিপুরায় হাসপাতালের দায়িত্বে ক্যাবিনেট মন্ত্রী
রাজ্য সরকারের দাবি, কেন্দ্রের দূরদর্শীতার অভাবের জন্য ছাত্রছাত্রীদের ভবিষ্যৎ অন্ধকারে ঠেলে দেওয়া যায় না। তাই নিজেদের বক্তব্য সেখানে ব্যাখ্যা করবে পশ্চিমবঙ্গ। সঙ্গে নতুন শিক্ষানীতির পরিমার্জন ও পরিবর্ধনের পরামর্শও দেবেন শিক্ষামন্ত্রী।
এমনিতে একাধিক ইস্যুতে বাংলার সঙ্গে কেন্দ্রের দ্বন্দ্ব বারবারই প্রকাশ্যে আসে। জাতীয় শিক্ষানীতি অথবা মহামারী আবহে কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নেওয়ায় শিক্ষামন্ত্রকের অনড় সিদ্ধান্ত নিয়ে সম্প্রতি একাধিকবার দ্বন্দ্ব চরমে ওঠে।
তবে তা সত্ত্বেও রাজ্যের পড়ুয়াদের স্বার্থে আলোচনার রাস্তায় হাঁটতে বিন্দুমাত্র যে আপত্তি নেই সরকারের, তা একেবারে স্পষ্ট করে দিলেন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। এদিন বিকাশ ভবনে শিক্ষক দিবসের ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানে ৪০ জন শিক্ষককে ‘শিক্ষারত্ন’ সম্মান জানানো হয়। তাঁদের দেওয়া হবে ২৫ হাজার টাকা, মানপত্র, চারটি বই। সঙ্গে এদিন সেরা বিদ্যালয়ের শিরোপাও পেয়েছে রাজ্যের ১৩ স্কুল।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584