অধিনায়কত্ব কাঁধে অ্যাশেজ সিরিজের প্রথম ম্যাচেই ৫ উইকেট, অসাধারণ পারফরম্যান্স কামিন্সের

0
57

শরীয়তুল্লাহ সোহন, ওয়েব ডেস্কঃ

অস্ট্রেলিয়ার টেস্ট দলের অধিনায়কত্বটা অনেকটা হঠাৎ করেই পেয়েছেন প্যাট কামিন্স। সেটিও আবার অ্যাশেজের মতো উপলক্ষে। একজন ফাস্ট বোলার হিসেবে ৬৫ বছর পর অস্ট্রেলীয় টেস্ট দলের অধিনায়কত্ব পাওয়ার উপলক্ষটাকে স্মরণীয় করে রাখলেন কামিন্স। ব্রিসবেনের গ্যাবায় অ্যাশেজের প্রথম টেস্টের প্রথম ইনিংসে কামিন্সের আগুনেই পুড়েছে ইংল্যান্ড। কামিন্স ৫ উইকেট পেয়েছেন, ইংলিশরা গুটিয়ে গেছে ১৪৭ রানে।

Aussie Bowler pat cummins
প্যাট কামিন্স

উল্লেখ্য, এর পূর্বে ১৮৯৪ সালে জর্জ গ্রিফিন অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক হিসেবে মেলবোর্নে অভিষেক ম্যাচে ৫ উইকেট নিয়েছিলেন। ১২৭ বছর পর সেই রেকর্ড গড়লেন প্যাট কামিন্স। অপরদিকে ১৯৮২ সালে অ্যাশেজে ইংল্যান্ডের অধিনায়ক হিসেবে ৫ উইকেট নিয়েছিলেন বব উইলিস। ৩৯ বছর পর অ্যাশেজ টেস্টে এবার সেই রেকর্ড ছুঁলেন কামিন্স।

টসে জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে দাঁড়াতেই পারেনি ইংল্যান্ড। হাসিব হামিদের ২৫, ওলি পোপের ৩৫, জস বাটলারের ৩৯ আর ক্রিস ওকসের ২১ রানের চারটি ইনিংস ছাড়া বলার মতো কিছুই নেই ইংল্যান্ড ব্যাটিংয়ে। সিরিজের প্রথম বলেই মিচেল স্টার্কের বলে বোল্ড হন ররি বার্নস। বাজে শুরুর ধাক্কাটা ইংল্যান্ড আর কখনোই কাটিয়ে উঠতে পারেনি। উইকেট হারিয়েছে নিয়মিত। মাঝখানে হাসিব হামিদ আর ওলি পোপের মধ্যে ৩১ রানের একটি জুটি দাঁড়িয়েছিল; এরপর জস বাটলারের সঙ্গে মিলে পোপের (৫২ রানের জুটি) আরও একটি ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা। ইংলিশ ব্যাটসম্যানদের এরপর আর খুঁজেই পাওয়া যায়নি।

কামিন্স অবশ্য দৃশ্যপটে এসেছেন একটু পরে। বেন স্টোকসকে ফিরিয়ে তিনি পেয়ে যান অধিনায়ক হিসেবে প্রথম উইকেটটি। এরপর একে একে তিনি ফিরিয়েছেন হাসিব হামিদ, ক্রিস ওকস, ওলি রবিনসন ও মার্ক উডের উইকেট। কামিন্সকে আজ ব্রিসবেনে যোগ্য সহযোগিতা করেছেন স্টার্ক (২/৩৫). হ্যাজলউড (২/৪২) ও ক্যামেরন গ্রিন (১/৬)।

আরও পড়ুনঃ পেলের অফিসিয়াল গোলের রেকর্ড ভাঙলেন মেসি, একই ম্যাচে আলো ছড়ালেন এমবাপ্পে

বাজে ব্যাটিংয়ের আগেই ইংল্যান্ড আজ সবাইকে চমকে দেয় স্টুয়ার্ট ব্রডকে বসিয়ে রেখে। কালই জানা গিয়েছিল হালকা চোট থাকায় জেমস অ্যান্ডারসনকে মাঠে নামানোর ঝুঁকি নিতে চায় না ইংলিশরা। ২০১৬ সালের পর এই প্রথম ইংল্যান্ড ব্রড ও অ্যান্ডারসনকে ছাড়া টেস্ট খেলতে নেমেছে। এর আগে সবশেষ যে টেস্টে ব্রড ও অ্যান্ডারসন খেলেননি, সেটিতে ইংল্যান্ড হেরেছিল। এই দুই ফাস্ট বোলারের সম্মিলিত টেস্ট উইকেট সংখ্যা ১১৫৬। ব্রড ও অ্যান্ডারসন না থাকায় ইংল্যান্ডের বোলিং আক্রমণ সাজানো হয়েছে মার্ক উড ও ওলি রবিনসনকে দিয়ে। স্পিন আক্রমণ সামলাচ্ছেন জ্যাক লিচ।

আরও পড়ুনঃ অবশেষে বিশ্বকাপের ব্যর্থতা নিয়ে মুখ খুললেন বোর্ড প্রেসিডেন্ট সৌরভ গাঙ্গুলী

নিউজফ্রন্ট এর ফেসবুক পেজে লাইক দিতে এখানে ক্লিক করুন
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here