নিজস্ব সংবাদদাতা, ওয়েব ডেস্কঃ
গোটা বিশ্বকে চিন্তায় ফেলে দিয়েছে একটামাত্র ভাইরাস। যার নাম করোনা ভাইরাস। হ্যাঁ, এই মারণ ভাইরাসের দাপটেই প্রায় স্তব্ধ হয়েছে জনজীবন। কোনোভাবেই পিছু ছাড়ছে না কোভিড-১৯। পৃথিবীর বুকে একেবারে আস্তানা গেঁড়ে বসেছে। এখনও পর্যন্ত এই রোগের কোনো ভ্যাকসিন আবিষ্কার হয়নি।
এই মারণ রোগ সেরে যাবে এমন কোনো ওষুধও এখনও পর্যন্ত তৈরি করা সম্ভব হয় নি। ফলে আক্রান্তের সংখ্যার পাশাপাশি বাড়ছে মৃতের সংখ্যাও। এরই মধ্যে একটু স্বস্তির খবর নিয়ে এল পতঞ্জলি। এবার আয়ুর্বেদকে কাজে লাগিয়ে করোনাকে হার মানানোর ওষুধ তৈরি করে ফেলল যোগগুরু বাবা রামদেবের কোম্পানি পতঞ্জলি।
#आयुर्वेदविजय_कोरोनिल_श्वासारि#कोरोना की एविडेंस बेस्ड प्रथम #आयुर्वेदिक औषधि, #श्वासारि_वटी ,#कोरोनिल का संपूर्ण साइंटिफिक डॉक्यूमेंट के साथ लॉन्च
पूज्य @yogrishiramdev जी
पूज्य @Ach_Balkrishna जी#आयुर्वेदविजय_कोरोनिल_श्वासारि pic.twitter.com/iYoceqf2YU— Patanjali Ayurved (@PypAyurved) June 23, 2020
“রোগীদের উপর ক্লিনিকাল ট্রায়াল চলাকালীন ১০০ শতাংশ সাফল্য মিলেছে” মঙ্গলবার ওষুধ প্রকাশ্যে এনে এমনটাই দাবি করেছে রামদেবের পতঞ্জলি সংস্থা। যদিও বিশ্বজুড়ে বিজ্ঞানীরা ভাইরাস নিরাময়ের জন্য হন্ন্যে হয়ে দিবারাত্র কাজ করে চলেছেন।
আরও পড়ুনঃ গবেষকদের ফেলোশিপের ভাতা বাড়াল ইউজিসি
পতঞ্জলির প্রতিষ্ঠাতা, যোগ শিক্ষক রামদেব বলেছেন, “গোটা বিশ্ব করোনা ভাইরাসের ভ্যাকসিন কিংবা ওষুধের অপেক্ষায় রয়েছে। তাই অত্যন্ত গর্বের সঙ্গে জানাচ্ছি, যে পতঞ্জলি রিসার্চ সেন্টার ও এনআইএমএস-এর অক্লান্ত প্রচেষ্টায় প্রথম আয়ুর্বেদিক ওষুধ আমরা নিয়ে এসেছি। যা ইতিমধ্যেই করোনা রোগীর উপর পরীক্ষা করে দেখা হয়েছে। যার প্রমাণও আমাদের কাছে আছে। দীর্ঘ গবেষণার পরই এই ওষুধ তৈরি করা সম্ভব হয়েছে। এই ওষুধে তিন থেকে সাতদিনের মধ্যেই ১০০ শতাংশ সুস্থ হয়ে উঠবেন করোনা আক্রান্ত রোগী।”
আরও পড়ুনঃ হজযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা কেন্দ্রের
রামদেব আরও জানান, “আমরা আজ কোভিড ওষুধ চালু করছি, যার নাম করোনিল এবং স্বসারি। আমরা এর দু’টি পরীক্ষা চালিয়েছি, প্রথম ক্লিনিকাল নিয়ন্ত্রিত গবেষণা, যা দিল্লি, আহমেদাবাদ সহ অন্যান্য অনেক শহরেই হয়েছিল। এই পরীক্ষার অধীনে ২৮০ জন রোগী অন্তর্ভুক্ত ছিলেন এবং তাঁদের ১০০ শতাংশই সুস্থ হয়ে গিয়েছেন।”
এই প্রকল্পে ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ মেডিকেল সায়েন্সেস বা জয়পুরের এনআইএমএস বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগিতায় কাজ করেছে পতঞ্জলি। বিকল্প নিরাময়ের দাবি বিষয়ে সতর্ক করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। হু বলেছে, “কিছু পশ্চিমী, ঐতিহ্যবাহী বা ঘরোয়া প্রতিকারে আরাম মিলতে পারে এবং কোভিড-১৯ এর লক্ষণগুলি হ্রাস পেতে পারে, তবে এমন কোনও প্রমাণ নেই যে সেই সব ওষুধ এই রোগ প্রতিরোধ করতে পারে বা নিরাময় করতে পারে। তাই অ্যান্টিবাইটিক সহ কোনও ওষুধই বা নিজের তৈরি করা ওষুধ বা চিকিৎসকের পরামর্শ না নিয়ে নিজে নিজে ওষুধ খাওয়ার পরামর্শ কখনোই দেয় না হু।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584