শুভম বন্দ্যোপাধ্যায়, কলকাতাঃ
এক হাসপাতাল থেকে লিখে দেওয়া সত্ত্বেও গুরুতর অসুস্থ রোগীকে ভর্তি নিল না অন্য হাসপাতাল। আর শয্যার অভাব দেখিয়ে ভর্তি না নেওয়ায় ফের অ্যাম্বুলেন্স অক্সিজেনের অভাবে মৃত্যু হল সজল দাশগুপ্ত (৫৫) নামে বরানগরের বাসিন্দা এক ব্যক্তির। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছে মঙ্গলবার ব্যারাকপুর বিএমআরসি হাসপাতালে। বারবার এই ঘটনা ঘটায় অভিযোগ উঠছে হাসপাতালে স্বাস্থ্যকর্মীদের মানসিকতা নিয়েও।
সূত্রের খবর, শ্বাসকষ্টের সমস্যা থাকায় কাকা সজল দাশগুপ্তকে কে নিয়ে বরানগর যোগেন্দ্র বসাক রোডের বাসিন্দা অভিজিত দাশগুপ্ত মঙ্গলবার বিকেল পাঁচটা নাগাদ ইএসআই হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য আসেন। সেখানে হাসপাতালে প্রয়োজনীয় কিছু চিকিৎসা করার পর উপযুক্ত ভেন্টিলেশন এবং আইসিইউর ব্যবস্থা না থাকায় রোগীকে বিএমআরসি হাসপাতাল নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়।
এর জন্য হাসপাতালে কাগজের তারা সেই তথ্য লিখে দেন। কিন্তু অভিযোগ আধঘণ্টার মধ্যে ওই হাসপাতালে পৌঁছলেও তারা রোগীকে ভর্তি নিতে অস্বীকার করেন। হাসপাতালে তরফে জানানো হয়, হাসপাতালের জরুরি বিভাগে শয্যা নেই, তাই ভর্তি নেওয়া সম্ভব নয়।
সেই সময় ওই বিভাগে একজন সিনিয়র ডাক্তার তিনজন জুনিয়র চিকিৎসকসহ দুজন মহিলা চিকিৎসক উপস্থিত ছিলেন। অভিজিৎ বাবুর দাবি, তারা অ্যাম্বুলেন্সে থাকা ওই রোগীর অক্সিজেন কমে যাওয়ার কথা জানান কিন্তু তারপরও কোনও গুরুত্ব দেওয়া হয়নি। বাধ্য হয়ে তারা ফের ফিরে আসেন ইএসআই হাসপাতালে । সেখানেই সজল বাবুকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়।
আরও পড়ুনঃ দক্ষিণ দিনাজপুরে বাড়ছে করোনা সংক্রমণের সংখ্যা
প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগেই ইছাপুর থেকে প্রথমে এই ইএসআই হাসপাতাল এবং পরে মিডল্যান্ড নার্সিংহোম হয়ে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে নিজের সন্তানকে ভর্তি করার জন্য প্রায় ১১ ঘণ্টা রাস্তায় হন্যে হয়ে ঘুরে ছিলেন এক যুবকের বাবা-মা।
কিন্তু বহুক্ষণ চিকিৎসা না পাওয়ায় রাতে মৃত্যু যুবকের। তারপরের দিনই ফের দুই হাসপাতাল থেকে রেফারের ফলে কলকাতা মেডিকেল কলেজে মৃত্যু হয় জয়নগরের বাসিন্দা এক যুবকের এবং এক তরুণীরও। এবার সেই একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি দেখা গেল ব্যারাকপুরে বিএমআরসি হাসপাতালে।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584