শুভম বন্দ্যোপাধ্যায়, কলকাতাঃ
করোনা আবহে মাঝেমধ্যেই বিভিন্ন হাসপাতালের বিরুদ্ধে উঠছে বিলে কারচুপি করার অভিযোগ। ঠিক তেমনি অভিযোগ উঠল এবার মেডিকা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের বিরুদ্ধে। দিনের পর দিন ভেন্টিলেশনে রোগীকে রেখে ১০ লক্ষ টাকা বিল বাড়ানোর অভিযোগ উঠেছে মেডিকা সুপারস্পেশালিটি হাসপাতালের বিরুদ্ধে।
যদি সেই রোগী শেষ পর্যন্ত মারা গেলেও বিল মেটাতে নাজেহাল অবস্থা পরিবারের। ইতিমধ্যে স্বাস্থ্য কমিশনের চেয়ারম্যানকে পুরো বিষয়টি জানিয়ে অভিযোগ দায়ের করেছেন মৃতের পরিবারের লোকজনরা।
সূত্রের খবর, অজয় কুমার দাস (৬৪) হাওড়ার শ্যামপুরের বাসিন্দা পেশায় স্বর্ণ ব্যবসায়ী ছিলেন।অজয় বাবু গত ২৮ অক্টোবর অসুস্থ হয়ে মেডিকাতে ভর্তি হন। ৩০ তারিখ মেডিকার তরফে অজয় কুমার দাসের পরিবারের লোকজনকে জানিয়ে দেওয়া হয়, রোগীর করোনা হয়েছে। এরপরই রোগীকে ভেন্টিলেশনে রাখা হয়।
আরও পড়ুনঃ করোনাতেও ১০ হাজার টাকা চাঁদার নামে গোটা মাসের বেতন ‘লুট’, গ্রেফতার ৩ ক্লাব সদস্য
রোগীর পরিবারের অভিযোগ, এক-একটি ইঞ্জেকশনের জন্য ৪৫ হাজার টাকা দাম বলা হত। যদিও তারা বারবারই এর বিরুদ্ধে প্রশ্ন তুলেছিলেন। রোগীর সঙ্গে দেখা করানোর কথা বললেই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ প্রসঙ্গ ঘুরিয়ে দিত বলে অভিযোগ।
আরও পড়ুনঃ ভুবনেশ্বরের জেলে মৃত্যু বেআইনি অর্থলগ্নি সংস্থা আইকোর কর্তা অনুকূল মাইতির
শনিবার রাতে অজয় কুমার দাস মারা যান বলে জানিয়ে দেওয়া হয় হাসপাতালের তরফে। কিন্তু তিনি কিভাবে মারা গেলেন, তাঁর শারীরিক অবস্থা কেমন ছিল তা কিছুই জানায়নি হাসপাতাল, বলে অভিযোগ পরিবারের।
তার পরই হাসপাতালে কাউন্টার থেকে পরিবারের লোকজনদের হাতে ১০ লক্ষ টাকার বিল ধরিয়ে দেওয়া হয়। কিন্তু কি হিসেবে এই বিল করা হল তা পরিষ্কার করে কিছু বলা হয়নি। পরিবারের লোকেরা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলতে চাইলে নিরাপত্তারক্ষীরা ঢুকতে দেননি। এর পরেই স্বাস্থ্য কমিশনে অভিযোগ জানাতে বাধ্য হয় পরিবার।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584