নিজস্ব সংবাদদাতা, পশ্চিম মেদিনীপুরঃ
পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার দাসপুর থানার বাসুদেবপুর গ্রামে এক বালকের মৃতদেহ নিয়ে পঞ্চায়েত সদস্যের বাড়ির সামনে বিক্ষোভ দেখায় তার পরিজন ও আত্মীয়স্বজনেরা। যার ফলে এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় দাসপুর থানার বিশাল পুলিশবাহিনী।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায় যে, গত ৩০ আগস্ট মহরমের দিন বাসুদেবপুর এলাকার শেখ মনিরুল আলি নামে ১২ বছরের এক বালককে ওই গ্রামের বাসিন্দা প্রসেনজিৎ হাজরা তার বাইকে ধাক্কা দেয়। যার ফলে ওই বালক গুরুতর আহত হয়। যেহেতু একই গ্রামের দুজন বাসিন্দা তাই বিষয়টি নিজেরাই মিটিয়ে নিবে বলে থানায় কোনো অভিযোগ দায়ের করা হয়নি। প্রথমে ওই বালককে ঘাটাল মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এরপর তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাকে কলকাতার অ্যাপোলো হাসপাতালের শিশু বিভাগে নিয়ে গিয়ে ভর্তি করা হয়।
আরও পড়ুনঃ শত্রুতার জের, মেমারিতে বিষ দিয়ে মারা হল প্রায় ২৫০০ কেজির বেশি মাছ
তার মাঝেই প্রসেনজিৎ হাজরা গ্রাম থেকে পালিয়ে যায় ভিন রাজ্যে।ওই বালকের চিকিৎসার জন্য সাহায্য করার কথা ছিল প্রসেনজিৎ হাজরার, তা সে করেনি। তাই অর্থের অভাবে ঠিকভাবে চিকিৎসা হয়নি বলে তার পরিবারের লোকের অভিযোগ। অবশেষে বুধবার গভীর রাতে বালকটি মারা যায়। বৃহস্পতিবার সকালে কলকাতা থেকে ওই বালকের মৃতদেহ নিয়ে তার পরিজন ও আত্মীয়-স্বজনেরা বাসুদেবপুর গ্রামের পঞ্চায়েত সদস্যা অর্চনা মন্ডলের বাড়ির সামনে মৃতদেহ রেখে বিক্ষোভ দেখায়। যার ফলে এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে।
আরও পড়ুনঃ বালুরঘাটে চার ভুয়ো চাকরি আবেদনকারী আটক
মৃতের পরিবারের দাবি ক্ষতিপূরণ দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় দাসপুর থানার বিশাল পুলিশবাহিনী। পুলিশ বাহিনী মৃত বালকের পরিবারের সাথে আলোচনা করে। তাদের বিষয়টি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দেন। সেই সঙ্গে পুলিশ ঠিক কি ঘটনা ঘটেছিল তা জানার জন্য পঞ্চায়েত সদস্যা অর্চনা মন্ডলের সাথে কথা বলেন। পুলিশ মৃত বালকের পরিবারকে আশ্বাস দেয় যে তাদের দাবি সহানুভুতির সাথে বিবেচনা করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। তবে অভিযুক্ত প্রসেনজিৎ ভিন রাজ্যে চলে যাওয়ায় তার সাথে কোন যোগাযোগ করা যায়নি। কিন্তু ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় যথেষ্ট উত্তেজনা রয়েছে।
পঞ্চায়েত সদস্যা অর্চনা মন্ডল বলেন,”দুই পক্ষের বিষয়টি মিটিয়ে নেওয়ার কথা থাকলেও, প্রসেনজিৎ হাজরা ভিন রাজ্যে চলে যাওয়ায় তা সম্ভব হয়নি।” তবে মৃতের পরিবারের বিষয়টি পুলিশ প্রশাসন প্রসেনজিৎ হাজরার পরিবারের সঙ্গে আলোচনা করে তা খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে বলে জানায়। যদি প্রসেনজিৎ হাজরা অর্থ সাহায্য করতো তাহলে সঠিকভাবে ওই বালকের চিকিৎসা করা হত। অর্থ সাহায্য না করায় তার চিকিৎসা ঠিক ভাবে করা যায় নি। তাই অকালে ওই বালকটি মারা গিয়েছে বলে পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584