মোহনা বিশ্বাস, কলকাতাঃ
উচ্চ প্রাথমিকে নিয়োগ প্রক্রিয়ায় স্থগিতাদেশ চেয়ে আরও একবার ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হলেন মামলাকারীরা। আজ সোমবার বিচারপতি সুব্রত তালুকদার ও বিচারপতি সৌগত ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চে সেই মামলার আবেদন জানানো হয়েছে। চলতি সপ্তাহেই সেই মামলার শুনানির সম্ভাবনা রয়েছে। সম্প্রতি নতুন করে তালিকা প্রকাশের পর নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরুর নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চ। এ বার সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে ডিভিশন বেঞ্চে আবেদন করলেন মামলাকারীরা। তাঁদের দাবি, এখনও স্বচ্ছ তলিকা প্রকাশ করা হয়নি।
এদিন মামলাকারী রাজীব ব্রহ্মের আইনজীবী বলেন, গত বৃহস্পতিবার উচ্চ প্রাথমিকের নতুন ইন্টারভিউ লিস্ট প্রকাশিত হয়। তা খতিয়ে দেখে একাধিক বেনিয়ম চোখে পড়ে। সে সবের উল্লেখ করে আদালতে অতিরিক্ত হলফনামা দেওয়া হয় মামলাকারীর তরফে। কিন্তু শুক্রবার মামলার শুনানিতে সেই হলফনামা গ্রহণ না করেই রায় শোনান বিচারক অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।
তালিকা প্রকাশের পর আর কোনও আবেদন শোনা হবে না বলেও সাফ জানিয়ে দেন বিচারপতি। তবে আদালতের নির্দেশে এও উল্লেখ করা হয় যে, তালিকায় অসন্তুষ্ট হলে চাকরি প্রার্থী কমিশনে অভিযোগ জানাতে পারবেন। স্কুল সার্ভিস কমিশন আলাদা করে তাদের কথা শুনবে ও বিচার করবে। ১২ সপ্তাহের মধ্যে পরীক্ষার্থীকে জবাব দিতে হবে বলেও জানান বিচারপতি।
আরও পড়ুনঃ রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে জয়েন্ট এন্ট্রান্স বন্ধের প্রতিবাদে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি
এর আগে বিচারপতি অভিজিত গঙ্গোপাধ্যায়ের সিঙ্গল বেঞ্চে এই মামলা হয়। আর সেই মামলায় নতুন তালিকা প্রকাশ করতে বলেছিলেন বিচারপতি। সেই মতো গত সপ্তাহেই নতুন করে তালিকা প্রকাশ করে স্কুল সার্ভিস কমিশন। যে তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে তাতে খুশি হয় আদালত। এমনকী নিয়োগ প্রক্রিয়ার ওপর থেকে স্থগিতাদেশও তুলে নেন বিচারপতি।
আরও পড়ুনঃ শিক্ষক শিক্ষিকাদের ডিউটি তালিকা মেনে স্কুলে উপস্থিত থাকার নির্দেশ জেলা পরিদর্শকের
আদালতের নির্দেশ মেনেই ওই ইন্টারভিউয়ের তালিকায় নামের সঙ্গে দেওয়া হয়েছে নম্বর। যাঁরা তালিকায় জায়গা পাননি, তাঁদের নাম, নম্বরও প্রকাশ করা হয়েছে। কিন্তু মামলাকারীদের অভিযোগ, তালিকায় কারও কারও ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে নম্বর ঠিক মতো আপলোড হয়নি। বাতিলের তালিকায় থাকা সেই প্রার্থীদের দাবি, তাঁদের আপলোড ‘সফল’ দেখানো হয়েছিল এসএসসির ওয়েবসাইটে।
শুধু তাই নয়, প্রার্থীরা জানিয়েছেন, কারও নম্বর আপলোডে সমস্যা হলে একটি বিশেষ মেল আইডি থেকে মেল করা হবে বলেও জানানো হয়েছিল। কিন্তু তাঁদের কাছে কোনও মেল যায় নি। অথচ আজ তালিকা বেরনোর পর দেখা যাচ্ছে তাঁরা বাতিলের তালিকায় রয়েছেন। মামলাকারীদের দাবি, “বার বার স্কুল সার্ভিস কমিশন ভুল করছে। আর আমরা সেই ভুল ধরিয়ে দিচ্ছি। এতে কমিশনের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হচ্ছে।”
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584