নিজস্ব সংবাদদাতা, ওয়েব ডেস্কঃ
অর্থমন্ত্রকের দাবি নস্যাৎ করে জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধির প্রভাব সরাসরি আম জনতার পকেটেই।বিশেষজ্ঞদের আশংকা সত্যি করে হুহু করে বাড়ছে জ্বালানির দাম। বাজেট পেশের পর অনেকেরই আশঙ্কা ছিল আরও মহার্ঘ হতে চলেছে জ্বালানি। ঘটনাচক্রে সে আশঙ্কাই সত্যি হলো। রবিবার সকালে ফের বাড়ল পেট্রল-ডিজেলের দাম।
ধারাবাহিক ভাবে ছ’দিন মূল্যবৃদ্ধি হলো জ্বালানির। এর ফলে রেকর্ড উচ্চতায় পৌঁছে গিয়েছে পেট্রল এবং ডিজেলের দাম। প্রথমবার কলকাতায় পেট্রল পেরিয়ে গিয়েছে ৯০ টাকার সীমা। ডিজেলও পেরিয়েছে ৮২ টাকা।কলকাতায় এই মুহূর্তে পেট্রল রেকর্ড ছুঁয়েছে। এদিন নতুন করে লিটারপ্রতি পেট্রোলের দাম বেড়েছে ২৮ পয়সা। ফলত, এই প্রথমবার শহরে সরকারি হিসেবে পেট্রোলের দাম পেরিয়েছে ৯০ টাকার গণ্ডি।
সরকারি তথ্য অনুযায়ী এই মুহূর্তে কলকাতায় পেট্রোলের দাম ৯০ টাকা ১ পয়সা। তবে সাধারণ নাগরিকরা তেল কিনতে পারবেন ৮৯ টাকা ৯৯ পয়সায়। একই সঙ্গে ডিজেলের মূল্যবৃদ্ধিতেও রেকর্ড করেছে শহর কলকাতা। শহরে ডিজেলে দাম এদিন বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮২ টাকা ৬৩ পয়সা। রাজধানী দিল্লিতে এদিন পেট্রলের দাম লিটারপ্রতি ৩০ পয়সা বেড়ে হয়েছে ৮৮টাকা ৪৪ পয়সা।
আরও পড়ুনঃ প্রতিবাদের অধিকার সবসময় ও সব জায়গার জন্য নয়ঃ সুপ্রিম কোর্ট
একইভাবে ডিজেলের বেড়ে হয়েছে ৭৮ টাকা ৪৪ পয়সা। মুম্বইয়ে পেট্রলের দাম রেকর্ড ৯৫ টাকার কাছে পৌঁছে গিয়েছে। বাণিজ্যনগরীতে আজ সকালে পেট্রলের দাম ৯৪ টাকা ৯৩ পয়সা এবং ডিজেলের দাম বেড়ে হয়েছে লিটারপ্রতি ৮৫টাকা ৭০ পয়সা। চেন্নাইয়ে আজ লিটারপ্রতি পেট্রলের দাম বেড়ে হয়েছে ৮০ টাকা ৮৩ পয়সা। একইভাবে ডিজেলের দাম হয়েছে ৮৩ টাকা ৩৬ পয়সা।
অপরিশোধিত তেলের দাম আন্তর্জাতিক বাজারে নিয়ন্ত্রণে থাকা সত্বেও দেশে পেট্রল-ডিজেলের মূল্য বৃদ্ধির কারণ, কেন্দ্রের চাপানো অতিরিক্ত সেস এবং আন্তঃশুল্ক। পাশাপাশি রাজ্য সরকারগুলির শুল্ক তো রয়েইছে। উদাহরণ হিসেবে বলা যেতে পারে গতকাল দেশে পেট্রলের বেসিক মূল্য ছিল মাত্র ২৯ টাকা ৩৪ পয়সা। তাঁর সঙ্গে কেন্দ্রের প্রায় ৩২ টাকা শুল্ক, রাজ্যের প্রায় ২০ টাকা ভ্যাট এবং বিক্রেতার কমিশন, সেস এসব মিলিয়ে মূল্য হয়েছে আকাশছোঁয়া।
আরও পড়ুনঃ কেন্দ্রের আর্থিক প্যাকেজে বাদ বাংলা, উঠছে প্রশ্ন
গত ১ ফেব্রুয়ারি ২০২১-২০২২ বাজেট পেশ করেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন। এই বাজেটে পেট্রল-ডিজেলের উপর কৃষি সেস বসিয়েছেন অর্থমন্ত্রী। পেট্রলে লিটারপ্রতি চার টাকা এবং ডিজেলে লিটারপ্রতি ২.৫ টাকা অতিরিক্ত সেস ধার্য হয়েছে। যদিও অর্থমন্ত্রক দাবি করেছিল, এই অতিরিক্ত সেসের প্রভাব সরাসরি সাধারণ মানুষের উপর পড়বে না। তা যাবে তেল বিক্রয়কারী সংস্থাগুলির পকেট থেকে।
অর্থমন্ত্রকের দাবি নস্যাৎ করে জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধির প্রভাব সরাসরি পড়ছে আমজনতার পকেটেই। দেখা যাচ্ছে, বাজেট পেশের পর থেকে লাগাতার দাম বাড়িয়েই চলেছে তেল বিক্রয়কারী সংস্থাগুলি। যার জেরে প্রায় প্রতিদিনই নতুন নতুন রেকর্ড তৈরি হচ্ছে জ্বালানির দামে।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584