শুভম বন্দ্যোপাধ্যায়, কলকাতাঃ
প্রচুর সংখ্যক করোনা রোগীকে একসঙ্গে সুস্থ করতে দেশের অন্যান্য রাজ্যের মত এ রাজ্যেও প্রয়োজন প্লাজমা ব্যাঙ্ক। আই ব্যাঙ্ক, ব্লাড ব্যাঙ্কের মতো প্লাজমা ব্যাঙ্কের প্রয়োজনীয়তাও বাড়ছে করোনা সংক্রমণে।
তাই কলকাতায় এই প্লাজমা ব্যাঙ্ক তৈরির প্রথম উদ্যোগ নিল বাইপাসের ধারে বেসরকারি মেডিকা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল।

আরও পড়ুনঃ ওয়েস্ট বেঙ্গল হেলথ ইউনিভার্সিটির পরীক্ষা সাময়িকভাবে স্থগিত করার দাবি এবিভিপির
করোনা মহামারীর সময়ে কলকাতায় প্রথম প্লাজমা থেরাপি শুরু হয় বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে। কিন্তু প্লাজমা সংরক্ষণ করার কোনও উপায় ছিল না। সূত্রের খবর, এই সপ্তাহের শুরুতেই প্লাজমা ব্যাঙ্ক তৈরি হবে মেডিকা হাসপাতালে। করোনাকে জয় করা মানুষদের প্লাজমা জমা করে নেবে এই ব্যাঙ্ক এবং এখানে যে সব রোগী ভর্তি হবেন, তাদের এই প্লাজমা দেওয়া হবে। প্রাথমিকভাবে মেডিকা হাসপাতালে যে সমস্ত রোগী ভর্তি রয়েছেন, তাঁদের উপরেই প্রথম প্রয়োগ করা হবে।
হাসপাতালের চেয়ারম্যান অলোক রায় বলেন, “করোনা সংক্রামিতদের সুস্থ করার লক্ষ্যে আমরা এই ব্যাঙ্ক করে এই চিকিৎসা শুরু করতে চলেছি।” কলকাতায় ইতিমধ্যেই সরকারিভাবে প্লাজমা থেরাপি শুরু হয়েছে। তবে প্লাজমা ব্যাঙ্ক তৈরি করে প্লাজমা সংরক্ষণ ও তার প্রয়োজন করলে আরও অনেক বেশি মানুষ উপকৃত হবেন বলে আশাবাদী চিকিৎসকরা। একজনের প্লাজমা দিয়ে চিকিৎসা করা যাবে দু’জনের।
কারা এই ব্যাঙ্কে প্লাজমা দান করতে পারবেন? দাতার শারীরিক পরিস্থিতি কেমন হওয়া দরকার, তার বিস্তারিত জানিয়ে দিয়েছে মেডিকা কর্তৃপক্ষ। বলা হয়েছে, যাঁরা করোনামুক্ত হয়ে উঠেছেন, টেস্ট রিপোর্ট নেগেটিভ আসার পর ১৪ দিন কেটে গিয়েছেন, তাঁরা প্লাজমা দিতে পারবেন।
আরও পড়ুনঃ ৩৪ হাজার দুর্নীতির অভিযোগের সত্যতা বিবেচনা করে প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্তদের ত্রাণ দেওয়া শুরু নবান্নের
প্লাজমাদাতার বয়স হতে হবে ১৮ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে। প্লাজমা দেওয়ার আগে CBC (Complete Blood Count), HIV, হেপাটাইটিস -B এবং C, TTI – এই চারটি পরীক্ষা করা হবে দাতার। সেই পরীক্ষার রিপোর্ট ঠিকঠাক থাকলে, তবেই প্লাজমা নেওয়া হবে।তবে সদ্য সন্তান প্রসব করেছেন, এমন কারও থেকে প্লাজমা নেওয়া হবে না।
হাসপাতালের সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তথা কার্ডিয়াক সার্জেন ডাক্তার কুণাল সরকার বলছেন, ”রোগীদের মধ্যে বাড়ছে প্লাজমার চাহিদা। সেই চাপেই প্লাজমা ব্যাংক খোলা হচ্ছে। যাঁরা করোনামুক্ত হয়েছেন, তাঁদের দেহ থেকে অ্যান্টিবডি সমৃদ্ধ প্লাজমা নিয়ে রোগীদের দেহে প্রবেশ করানো হচ্ছে, তাঁদের সুস্থ করে তোলার জন্য। একজনের প্লাজমা দিয়ে দু’জনের চিকিৎসা হবে।”
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584