নিজস্ব সংবাদদাতা, ওয়েব ডেস্কঃ
রীতি অনুযায়ী রাজ্যসভার পর লোকসভায় রাষ্ট্রপতির ভাষণের ধন্যবাদজ্ঞাপন বক্তৃতায় বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এদিনের বক্তৃতায় তিনি প্রথমেই বাজেট বক্তৃতার ওপর আলোচনা এবং রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর আলোচনায় অংশ নেওয়ার জন্য দুই কক্ষের মহিলা সাংসদদের ধন্যবাদ জানান।
এদিন লোকসভায় প্রধানমন্ত্রীর ভাষণের মধ্যেই কৃষি আইন প্রত্যাহারের দাবি তুলে ওয়াকআউট করেন কংগ্রেস সাংসদরা। এদিন প্রধানমন্ত্রী রাষ্ট্রপতির ভাষণকে সঙ্কল্প শক্তি আখ্যা দিয়ে কৃষি আইন থেকে সংসদ অচল, সব বিষয়ে সরব হয়েছিলেন।
তিনি বলেন, “কৃষি আইন পাসের পর থেকে ন্যুনতম কৃষি সহায়ক (MSP) মুল্য কিংবা মান্ডি, কোনও কিছুর কাজ আটকায়নি। প্রধানমন্ত্রী বলেন অর্ডিন্যান্সের মাধ্যমে এই আইন পাস হলেও কোন কিছুকেই তা প্রভাবিত করেনি। সরকারের প্রবীণ মন্ত্রীরা কৃষকদের সঙ্গে আলোচনা করছেন। পাঞ্জাবে এই আন্দোলন শুরু হওয়ার পর থেকেই সমাধান সূত্র খুঁজছে সরকার। আমরা কৃষকদের অত্যন্ত সম্মান করি।”
এদিন বিরোধীদের সমালোচনায় সরব হন তিনি। বাজেট পেশের পর থেকে দফায় দফায় মুলতুবি হয়েছে সংসদের অধিবেশন। সেই প্রসঙ্গে বিরোধীদের কাঠগড়ায় তুলে মোদী বলেন, “সংসদ চলতে না দেওয়া বিরোধীদের পরিকল্পিত চক্রান্ত। ওরা সত্যি সহ্য করতে পারছে না। কোনওভাবেই মানুষের বিশ্বাস অর্জন করতে পারছে না।”
আরও পড়ুনঃ অধীর বাধায় সংসদে বসে পড়লেন মোদী
কৃষি আইন নিয়েও এদিন বিরোধীদের সমালোচনায় সরব হয়েছিলেন মোদী। কিছুটা কটাক্ষের সুরেই প্রধানমন্ত্রী এদিন বলেন, “অনেকে প্রশ্ন করছেন সবার মত না নিয়ে কেন এই আইন? সবার মত না নিয়েই পণ-বিরোধী আইন আর তিন তালাক বিরোধী আইন লাগু করা হয়েছিল। তখন কেউ প্রশ্ন করেনি। সামাজিক উন্নয়নের প্রয়োজনে এই আইন লাগু করা হয়েছে।”
প্রধানমন্ত্রীর দাবি, “কৃষি ক্ষেত্রে নতুন প্রযুক্তি আর বিনিয়োগ না আনলে সার্বিক উন্নয়ন সম্ভব নয়। আমাদের গম আর ধান উৎপাদনের বাইরেও অভিনব কিছু ভাবতে হবে।”
আরও পড়ুনঃ বাজেট বক্তৃতা সরকারের ভোট ব্যাংক রাজনীতিঃ কপিল সিব্বল
কেন্দ্রীয় সরকারের বেসরকারিকরণ নীতির সমালোচনায় সরব বিরোধীরা। এদিন সেই বিরোধী সেই অবস্থানকেও দুষেছেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, “দেশের সার্বিক উন্নয়নে সরকারি সংস্থার পাশাপাশি বেসরকারি সংস্থার অবদান অনস্বীকার্য। তাই কিছু ভোটের আশায় বেসরকারি সংস্থার বিরুদ্ধাচারণ ঠিক নয়। এতে যুব সম্প্রদায়ের কাছে ভুল বার্তা যেতে পারে। ওরা অপমানিত হতে পারে।”
প্রধানমন্ত্রী আবারও আক্রমণাত্মক সুরে ‘আন্দোলনজীবী’দের নিশানা করেন। তিনি বলেন, “প্রথম দিকে কৃষক আন্দোলনকে আমি পবিত্র চোখে দেখতাম। কিন্তু যখন থেকে আন্দোলনজীবীরা এই বিক্ষোভকে হাইজ্যাক করেছে তখন থেকেই শুরু হয়েছে অশান্তি। তাঁদের মধ্যে অনেকে আবার গর্হিত অপরাধে জেল খেটেছেন। আন্দোলনের নামে টোল প্লাজা অচল করে দেওয়া, টেলিকম টাওয়ার গুঁড়িয়ে দেওয়া। এটা কী ধরনের শান্তিপূর্ণ আন্দোলন?” প্রধানমন্ত্রীর আরও অভিযোগ, “বিরোধীরা কথায় যা বলে, কাজে তার প্রতিফলন দেখা যায়না।”
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584