নিজস্ব সংবাদদাতা, ওয়েব ডেস্কঃ
কুম্ভমেলায় কার্যত করোনা সংক্রমণের বিস্ফোরণ ঘটেছে, ইতিমধ্যে হয়ে গিয়েছে দুটি শাহী স্নান। সংক্রমণের সংখ্যা দেখে হুঁশ ফিরেছে কেন্দ্রের। এবার করোনা প্রতিরোধে ‘প্রতীকী’ কুম্ভমেলা করার আর্জি জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
শনিবার সকালে ‘সন্ন্যাসী দুনিয়া’-কে ধন্যবাদ জানান প্রধানমন্ত্রী। তিনি আরো জানিয়েছেন যে, জুনা আখড়ার স্বামী অভদেশ্যানন্দ গিরির সঙ্গে ফোনে কথা হয়েছে তাঁর। মোদি বলেছেন সমস্ত সন্ন্যাসী প্রশাসনের সঙ্গে সবরকমের সহযোগিতা করছেন। প্রধানমন্ত্রী দাবি করেছেন যে করোনা পরিস্থিতির কারণে ইতিমধ্যেই দুটি শাহী স্নান হয়ে যাওয়ার পর এবার কুম্ভমেলা ‘প্রতীকী’ করা হোক। যা দেশকে করোনার সঙ্গে লড়াইয়ে শক্তি জোগাবে।
आचार्य महामंडलेश्वर पूज्य स्वामी अवधेशानंद गिरि जी से आज फोन पर बात की। सभी संतों के स्वास्थ्य का हाल जाना। सभी संतगण प्रशासन को हर प्रकार का सहयोग कर रहे हैं। मैंने इसके लिए संत जगत का आभार व्यक्त किया।
— Narendra Modi (@narendramodi) April 17, 2021
স্বামী অভদেশ্যানন্দ ‘টুইটারে’ জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর আবেদনকে সম্মান করে, করোনা সংক্রমণের এই পরিস্থিতিতে ধর্মপ্রাণ মানুষদের তিনি অনুরোধ জানাচ্ছেন ‘বড় সংখ্যায়’ শাহী স্নানে না আসতে এবং যথাযথ করোনা বিধি মেনে চলতে।করোনা সংক্রমণ বাড়তে থাকায় এই বছরের কুম্ভ মেলায় ‘কাটছাঁট’ করা হয়েছে। জানুয়ারিতে শুরু হয়ে এপ্রিল অব্দি চলে কুম্ভমেলা, পরিবর্তে যা এবছর ১ এপ্রিল থেকে শুরু হয়েছে, চলবে আগামী ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত; প্রতি ১২ বছরে একবার হয় এই কুম্ভ মেলা। তা সত্ত্বেও লাগাতার বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা।
আরও পড়ুনঃ অবস্থানরত কৃষকদের জন্য করোনা টিকাকরণ শুরু করুক সরকার, দাবি সংযুক্ত কিষান মোর্চার
করোনাবিধি মেনে চলার কথা বললেও কার্যত কিছুই মানা হচ্ছিল না কুম্ভমেলায়। ফলে হুহু করে ছড়িয়েছে সংক্রমণ। করোনার দ্বিতীয় ঢেউ এর সময় ৪৮.৫১ লক্ষ মানুষের জমায়েত নিয়ে প্রবল সমালোচনার মুখে পড়েছে উত্তরাখণ্ড সরকার এবং কেন্দ্রীয় সরকার।গত বছর নিজামুদ্দিন মার্কাজের জমায়েত হওয়ার পরে তাঁদের বিরুদ্ধে ঠিক কি কি আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিল তা ভুলে যাননি কেউই, যদিও ৪৮ লক্ষ মানুষের জমায়েতের কোনো প্রশ্নই ছিল না সেখানে।
সে ঘটনার সঙ্গে কুম্ভ মেলার তুলনা টেনে প্রশ্ন তুলেছেন অনেকেই যে, সবকিছু জানার পরও কেন অনুমতি দেওয়া হলো ৪৮লক্ষেরও বেশি মানুষের জমায়েত করার! এবং সর্বোপরি,যে প্রশ্ন ওঠে আসছে- যারা এই কুম্ভ মেলায় অংশগ্রহণ করেননি তেমন বহু মানুষ সরকারের ‘অবিমৃষ্যকারীতা’- ফল কেন ভুগবেন!তবে দুটি ঘটনাকে এক করে দেখতে রাজি নন উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী তিরথ সিং রাওয়াত।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584