উজ্জ্বল দত্ত, কলকাতাঃ
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্য আরোগ্য কামনা করে পুরুলিয়ার জনসভায় ফের রাম-লক্ষ্মণ-সীতার কথা মনে করালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। প্রথমেই পুরুলিয়ার শহিদ পরিবারের সদস্যদের সম্মান জানালেন প্রধানমন্ত্রী। এরপর বাংলা ভাষায় উপস্থিত জনতাকে সম্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী।
রঘুনাথ মুর্মু, সিধু-কানুকে সম্মান জানালেন।পুরুলিয়ার মাটি রাম-সীতার বনবাসের সাক্ষী। বনবাসের সময় সীতার যখন জলতেষ্টা পেয়েছিল, শ্রীরাম মাটিতে বান মেরে জলের ধারা এনেছিল। এর থেকেই বোঝা যায় পুরুলিয়ায় জলের অবস্থা কত ভাল ছিল। এখন পুরুলিয়ায় জলকষ্ট। আট বছরে জলপ্রকল্পের কাজ শেষ করতে পারেনি।
আমজনতার এতটাই জলকষ্ট যে তাঁরা ঠিকমতো চাষ করতে পারে না। পানীয় জলের জন্য মহিলাদের অনেক দূরে যেতে হবে। বাম ও রাজ্যের এখনকার শাসকদল গোটা দেশের কাছে পুরুলিয়াকে পিছিয়ে পড়া জেলা হিসেবে তুলে ধরেছেন। তৃণমূল আমলে আরও পিছিয়ে পড়েছে পুরুলিয়া বলে জানান প্রধানমন্ত্রী।
আরও পড়ুনঃ দুয়ারে সরকার দরকার পড়ল কেন- প্রশ্ন শমীকের
তিনি নিজের বক্তব্যে জানান,’দেশের বাকি মেয়েদের মতো দিদিও আমাদের দেশের মেয়ে। তাই দিদির যখন চোট লেগেছিল তখন আমারও চিন্তা হয়েছিল। ওনার পায়ের চোট সেরে যাক, ভগবানের কাছে প্রার্থনা করি। দিদি, আপনি খিঁচ আমার ওপর বের করছেন, বিজেপির ওপর ক্ষুব্ধ হয়ে আছেন।’
নরেন্দ্র মোদী এদিন আরও বলেন,’এই বছর কেন্দ্র সরকারের বাজেটে পশ্চিমবঙ্গে হাইওয়ে তৈরির কোটি টাকা ধরা হয়েছে।পুরুলিয়া এখন দেশের মধ্যে পিছিয়ে পড়া জেলা।আদিবাসী ও দলিতদের কর্মসংস্থান হবে এখানে। এখানকার আদিবাসী ও স্থায়ী বাসিন্দাদের অধিকার কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ নরেন্দ্র মোদীর দাবি,’দিদি বলেন খেলা হবে, বিজেপি বলে হাসপাতাল হবে, স্কুল হবে, মেয়েদের উত্থান হবে। খেলা শেষ হবে, উন্নয়ন আরম্ভ হবে। দশ বছর খেলেছেন দিদি, এ বার খেলা শেষ হবে।’
আরও পড়ুনঃ দিদিকে ভাঙা পায়ে দেখে মঞ্চেই কেঁদে ফেললেন ভাই দুলাল
একই সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলে যান,’বাম সরকার, তৃণমূলের জন্য জলের অভাব গোটা পুরুলিয়ায়।এরা পুরুলিয়াকে শুধু সঙ্কট দিয়েছে। দিদি আপনাকে,কাজের হিসেব দিতে হবে। বছরের পর বছর ধরে একটা সেতুও বানাতে পারেনি।’ প্রধানমন্ত্রী এদিন খোশ মেজাজেই বলে যান,’জঙ্গলমহলের পবিত্র ভূমিতে আসতে পেরে আমি নিজেকে ভাগ্যবান মনে করছি। পুরুলিয়ায় টুরিজমের অনেক সম্ভাবনা, সবকিছুকে স্বীকৃতি দেওয়া হবে।
জল সঙ্কট দেশের অনেক জায়গাতেই আছে। তবে বিজেপি যেখানে যেখানে সেবার সুযোগ পেয়েছে সেখানেই পাইপলাইন হয়েছে।জলের সমস্যা মিটতেই চাষীরা চাষের সুবিধে পেয়েছে। এই একই কাজ বাংলাতেও হবে। জল সঙ্কটে ভরা জীবন দিয়েছে তৃণমূল।’
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584